চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তারের রিটে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!গত বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় আদালতে রিট আবেদন করেন। এর ভিত্তিতে আজ সোমবার (২০ মে) হাইকোর্ট এই নির্দেশ দেন।
নিপুণের করা রিটে মিশা-ডিপজল নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাসহ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তের দাবি করা হয়; যা আদালতে আজ মঞ্জুর হয়।
এ বিষয়টি নিয়ে ডিপজল সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় বুঝতে পারছি এটার পেছনে অবশ্যই বড় শক্তি আছে। যেহেতু (নিপুণ) এটা করতে পারছে বুঝতে হবে তার পেছনের হাত বেশ লম্বা। এই বিষয়ে আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবসময় আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হাইকোর্ট যেহেতু রায় দিয়েছে এখানে আমার কিছু বলার নাই। তবে বিষয়টি নিয়ে বর্তমান শিল্পী সমিতির কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে আগামীকাল অথবা পরের দিন আমরা চেম্বার জজ আদালতে যাব।’
এদিকে রোববার (১৯ মে) নিপুণের আইনজীবী ব্যারিস্টার শাহ মঞ্জুরুল হক আদালতে দাবি করেন, শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অবৈধ টাকার খেলা হয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে রিট শুনানির তারিখ পেছায় আদালত।
এরপরই আজ শুনানিতে নিপুণের আইনজীবী আদালতে আরও দাবি করেন, তার প্রার্থী নিপুণ সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। আর হেরে যাওয়ার পেছনে রয়েছে ভোটারদের টাকার প্রলোভন দেখানো।
এ কাজের জন্য মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে দায়ী করেন নিপুণের আইনজীবী একইসঙ্গে অভিযোগ করেন, ফাইট ডিরেক্টর আরমান ভোটারদের বাড়ি বাড়ি টাকার প্রলোভন দেখানোর কাজটি দেখিয়েছেন। শুধু টাকার প্রলোভনই নয়, সাভারের মধুমতি রিসোর্টে ভোটারদের দাওয়াত দিয়ে টাকা দেন তারা।
এমন অভিযোগ পাওয়ার পর আদালত ডিপজলের দায়িত্ব পালন স্থগিতের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৯ এপ্রিল। ২০ এপ্রিল সকালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়।
দৈনিক টার্গেট 
























