রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে করলার গুণের কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু অনেকেই জানেন না, ত্বক ও চুলের যত্নেও এই তিতকুটে সবজিটির রয়েছে বিস্ময়কর উপকারিতা।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!করলা শুধু শরীরের ভেতরের যত্ন নেয় না, এটি চুলের গোড়া মজবুত করে, খুশকি দূর করে এবং চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
করলায় আছে চুলের পুষ্টি
বিশেষজ্ঞদের মতে, করলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি রয়েছে, যা চুলের শিকড়কে শক্ত করে এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে, ফলে খুশকি ও স্ক্যাল্প ইনফেকশন দূর হয় সহজেই।
চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে
নিয়মিত করলা ব্যবহারে চুলের টেক্সচার উন্নত হয়। চুলের রুক্ষ ভাব কমে গিয়ে হয়ে ওঠে নরম ও ঝলমলে। পাশাপাশি এটি চুলের অকাল পাকা রোধেও কার্যকর ভূমিকা রাখে। যারা নিয়মিত করলার তেল ব্যবহার করেন, তাদের চুল অনেক সময়কাল কালো ও ঘন থাকে।
করলার রস ও তেলের ব্যবহার
করলার রস কেবল পান করলেই নয়, এটি চুলে সরাসরি ব্যবহার করলেও দারুণ ফল পাওয়া যায়।
করলার রস তৈরি করতে তাজা করলা ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিন। এই রস স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ২০–৩০ মিনিট পর মৃদু শ্যাম্পুতে ধুয়ে ফেলুন।
করলার তেল বানাতে করলার রস নারকেল তেলের সঙ্গে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে সংরক্ষণ করুন। সপ্তাহে ২ দিন এই তেল চুলে লাগালে চুল পড়া স্পষ্টভাবে কমে যাবে।
খুশকি দূর করতে ভিনিগার মিশিয়ে নিন
যাদের স্ক্যাল্পে অতিরিক্ত তেল বা খুশকির সমস্যা রয়েছে, তারা করলার তেল ও অ্যাপেল সিডার ভিনিগার সমপরিমাণে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করলে স্ক্যাল্প হবে পরিষ্কার ও সতেজ।
চুলের মাস্কে করলার ব্যবহার
চুল পড়া ও শুষ্কতা কমাতে করলা ও টকদইয়ের হেয়ার মাস্ক বেশ জনপ্রিয়।
একটি করলা থেকে রস বের করে তাতে পরিমাণমতো টকদই মিশিয়ে নিন। চুলে সমানভাবে লাগিয়ে ৪৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে চুল হবে মসৃণ, কোমল ও সিল্কি।
চুলের যত্নে করলার ব্যবহার অনেকটা ঘরোয়া কিন্তু ফল একদম পার্লার মানের। চুল পড়া, খুশকি কিংবা অকাল পাকা-সব সমস্যার সহজ ও প্রাকৃতিক সমাধান লুকিয়ে আছে এই তিতকুটে সবজিতেই। তাই এবার থেকে শুধু শরীর নয়, সৌন্দর্যের যত্নেও করলাকে রাখুন আপনার দৈনন্দিন রুটিনে।
দৈনিক টার্গেট 

























