কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয় ও মিরপুর-১৪ নম্বরে সার্কেল-১ অফিসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে ডেটা সেন্টারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সব ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বনানী এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বিআরটিএ ভবনের পাশে একটি অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল।
তিনি বলেন, ‘দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে বিআরটিএর প্রধান কার্যালয় পুরোটাই এখন পরিত্যক্ত ও ব্যবহার অনুপযোগী। এখানে সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গাড়ির ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশনসহ বিআরটিএর দৈনন্দিন সেবাগুলো দেয়া যাচ্ছে না। এটি কবে চালু হবে, সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ভবনের এক থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা। হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পুরো ভবনের বিদ্যুৎ, সার্ভার ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, কার্যালয়ের অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র, বিশেষ করে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রিন্টার, ফটোকপি মেশিন ও আসবাব লুট করে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। এছাড়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, পানি সরবরাহ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভাঙচুরের বিবরণ দিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, হামলাকারীরা প্রথমে ভবনের প্রধান ফটক ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে। তারা নিচতলার ‘হেল্প ডেস্ক’, বঙ্গবন্ধু কর্নার ও সিসিটিভি ক্যামেরার সার্ভার সিস্টেমে অগ্নিসংযোগ করে। বেজমেন্টে থাকা সাতটি গাড়ি ও পাঁচটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের জন্য কমিটি করা হয়েছে জানিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, বিশেষজ্ঞরা সবকিছু বিশ্লেষণ করছেন। ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের পর বোঝা যাবে মেরামতের জন্য কোন পদ্ধতিতে তারা অগ্রসর হবেন। মেরামতের পর সার্ভার যদি সচল হয়, তাহলে বোঝা যাবে, সেবা চালু করতে কতদিন লাগবে।
এ হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে বনানী থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান গৌতম চন্দ্র পাল।
দৈনিক টার্গেট 
























