বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি দায়িত্বশীল নাম বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৩:৪২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪
  • ২৬৭ বার পঠিত হয়েছে

বাংলাদেশ বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম, যা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বুধবার (২৯ মে) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

এ সময় শেখ হাসিনা সংলাপের মাধ্যমে সকল দ্বন্ধ-সংঘাত নিরসন, চলমান যুদ্ধ বন্ধ এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতার অর্থ মানবজাতির কল্যাণে ব্যয় করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, জাতির জনকের পররাষ্ট্র নীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির জনকের অঙ্গীকার ও আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ‘ব্লু হেলমেট’ পরিবারের সদস্য হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ১৩টি স্থানে ৪৯৩ জন নারীসহ ছয় হাজার ৯২ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা যেখানে কাজ করছে সেসব রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রশংসা শুনে গর্বে আমার বুকটা ভরে যায়।’

শেখ হাসিনা বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম। আমরা সর্বজন স্বীকৃত এবং বিশ্বের বুকে রোল মডেল। এই অর্জনের পেছনে রয়েছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর টেকসই, পরিশ্রমী নিবেদিত প্রাণ সদস্যদের মহান আত্মত্যাগ ও অমূল্য অবদান।

তিনি যারা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মত্যাগকারী ১৬৮ ও গুরুতর আহত ২৬৬ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।

শান্তিরক্ষায় অবদান রাখতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তাদের পরিবারের সদস্যদেরও সমবেদনা জানান তিনি।

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতিসংঘ শাস্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ৩৬ বছর উদযাপন করছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বৃহৎ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ এবং সকলে অত্যন্ত সুনাম ও গৌরবের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। তিনি এ সময় বিশ্বের নানা প্রান্তে কর্মরত সব বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের শুভেচ্ছা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনকের আদর্শ অনুসরণ করে আমরা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। শান্তিরক্ষা মিশন ছাড়াও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতেও আমরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখছি।

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের জাতিসংঘে ‘কালচার অব পিস’ (শাস্তির সংস্কৃতি) প্রস্তাব উত্থাপন করে যা ১৯৯৯ সালে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সেই থেকে প্রতিবছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘ফ্লাগশিপ রেজ্যুলেশন’ এই ‘কালচার অব পিস’ সর্বস্মতিক্রমে গৃহীত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব কালচার অব পিস’ হিসেবে ঘোষণা করে। যার মাধ্যমে শান্তির সংস্কৃতি প্রস্তাবের ২৫ তম বর্ষ উদযাপিত হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘অ্যাজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে কালচার অব পিস প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য বলে আমার বিশ্বাস।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আহতদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।

তিনি ইউএন পিস কিপার্স জার্নাল এর (১০ম ভলিউম) মোড়কও উন্মোচন করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মত্যাগকারী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে কর্মরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন

দৈনিক টার্গেট

আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন সর্বশেষ খবর পেতে।

ফলো করুন

বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি দায়িত্বশীল নাম বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৪২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

বাংলাদেশ বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম, যা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বুধবার (২৯ মে) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

এ সময় শেখ হাসিনা সংলাপের মাধ্যমে সকল দ্বন্ধ-সংঘাত নিরসন, চলমান যুদ্ধ বন্ধ এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতার অর্থ মানবজাতির কল্যাণে ব্যয় করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, জাতির জনকের পররাষ্ট্র নীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির জনকের অঙ্গীকার ও আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ‘ব্লু হেলমেট’ পরিবারের সদস্য হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ১৩টি স্থানে ৪৯৩ জন নারীসহ ছয় হাজার ৯২ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা যেখানে কাজ করছে সেসব রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রশংসা শুনে গর্বে আমার বুকটা ভরে যায়।’

শেখ হাসিনা বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম। আমরা সর্বজন স্বীকৃত এবং বিশ্বের বুকে রোল মডেল। এই অর্জনের পেছনে রয়েছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর টেকসই, পরিশ্রমী নিবেদিত প্রাণ সদস্যদের মহান আত্মত্যাগ ও অমূল্য অবদান।

তিনি যারা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মত্যাগকারী ১৬৮ ও গুরুতর আহত ২৬৬ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।

শান্তিরক্ষায় অবদান রাখতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তাদের পরিবারের সদস্যদেরও সমবেদনা জানান তিনি।

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতিসংঘ শাস্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ৩৬ বছর উদযাপন করছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বৃহৎ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ এবং সকলে অত্যন্ত সুনাম ও গৌরবের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। তিনি এ সময় বিশ্বের নানা প্রান্তে কর্মরত সব বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের শুভেচ্ছা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনকের আদর্শ অনুসরণ করে আমরা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। শান্তিরক্ষা মিশন ছাড়াও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতেও আমরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখছি।

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের জাতিসংঘে ‘কালচার অব পিস’ (শাস্তির সংস্কৃতি) প্রস্তাব উত্থাপন করে যা ১৯৯৯ সালে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সেই থেকে প্রতিবছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘ফ্লাগশিপ রেজ্যুলেশন’ এই ‘কালচার অব পিস’ সর্বস্মতিক্রমে গৃহীত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব কালচার অব পিস’ হিসেবে ঘোষণা করে। যার মাধ্যমে শান্তির সংস্কৃতি প্রস্তাবের ২৫ তম বর্ষ উদযাপিত হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘অ্যাজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে কালচার অব পিস প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য বলে আমার বিশ্বাস।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আহতদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।

তিনি ইউএন পিস কিপার্স জার্নাল এর (১০ম ভলিউম) মোড়কও উন্মোচন করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মত্যাগকারী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে কর্মরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন