জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘সোশ্যাল বিজনেস, ইয়ুথ অ্যান্ড টেকনোলজি’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের সাইডলাইন বৈঠকে তরুণদের উদ্দেশ্যে বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!তিনি বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বলেন, “আমরা এমন একটি পৃথিবীর দিকে এগোতে চাই যেখানে থাকবে তিন শূন্য – শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ এবং শূন্য বেকারত্ব। এছাড়া, শূন্য বর্জ্য বা জিরো ওয়েস্ট ধারণাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যা জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘জিরো ওয়েস্ট ইনিশিয়েটিভের’ অংশ।”
অধ্যাপক ইউনূস ব্যাখ্যা করেন, তরুণদেরকে উৎসাহিত করা হচ্ছে ‘থ্রি-জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার জন্য, যেখানে প্রত্যেকে একটি ‘থ্রি-জিরো মানুষ’ হিসেবে সমাজে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে। একজন থ্রি-জিরো মানুষ হলেন যে ব্যক্তি টেকসই জীবনযাপন করে, বর্জ্য কমায় এবং সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে সক্রিয় থাকে। এরা সচেষ্ট থাকেন যাতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, সম্পদ বৈষম্য এবং বেকারত্বে তাদের কোনো অবদান না থাকে।
তিনি আরও বলেন, “যত বেশি মানুষ এই আন্দোলনে যুক্ত হবে, ততই ক্লাবগুলো বিস্তৃত হবে থ্রি-জিরো পরিবার, থ্রি-জিরো গ্রাম এবং থ্রি-জিরো শহরে। একসময় এটি পরিণত হবে একটি থ্রি-জিরো বিশ্বে।”
ড. ইউনূস আশ্বাস দেন, পরিবর্তন শুরু হয় ছোট ছোট পদক্ষেপ থেকে। কিন্তু এই পদক্ষেপগুলো একসঙ্গে মিলিত হলে, তা বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় শক্তিশালী প্রভাব ফেলে। তিনি বলেন, “যদি আমরা সামাজিক ব্যবসার শক্তি, তরুণদের উদ্যম এবং প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে একত্রিত করি, তাহলে কোনো জটিল বৈশ্বিক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।”
এই আহ্বানকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে তরুণদের মধ্যে নতুন উদ্যম সৃষ্টি হতে পারে, যারা থ্রি-জিরো ক্লাবের মাধ্যমে টেকসই জীবনধারা ও সামাজিক দায়িত্বে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন।