বিএনপি ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে-তালিকায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান, প্রশ্ন এখন নেতৃত্বে কার হাতে থাকবে

খালেদা না তারেক? নেতৃত্বে ধোঁয়াশা

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০১:৩১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ৩৭ বার পঠিত হয়েছে

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান

বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এই তালিকায় সবচেয়ে আলোচনায় থাকা নাম দুটি দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ খালেদা জিয়া এবারও তিনটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩। অন্যদিকে তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে প্রশ্ন উঠেছে, বিএনপির প্রচার এবং ভবিষ্যৎ সরকার গঠনে নেতৃত্ব দেবেন কে?

দলের সিনিয়র নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়াকে প্রার্থী করা দলীয় কৌশলের অংশ। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, “আমরা বিশ্বাস করি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দলকে নেতৃত্ব দেবেন, আর নির্বাচনের প্রচারে নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান। আমাদের লক্ষ্য তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখা।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিএনপির এই পদক্ষেপ দ্বৈত বার্তা বহন করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, “খালেদা জিয়াকে প্রার্থী করা মূলত দলটির অস্তিত্ব ও সক্রিয়তার বার্তা। এটি একটি রাজনৈতিক কৌশল, যা দেখায় বিএনপি এখনো নেতৃত্বের সংকটে নেই।”

অন্যদিকে লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, “তারেক রহমান দেশে না ফেরায় অনিশ্চয়তা থেকেই গেছে। সম্ভবত এই কারণেই খালেদা জিয়াকে তিনটি আসনে প্রার্থী করা হয়েছে, যেন দলীয় নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।”

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

২০০৮ সালের পর থেকে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান বর্তমানে দলের কার্যক্রম ভার্চুয়ালি পরিচালনা করছেন। ২০১৮ সালে খালেদা জিয়ার কারাবাসের পর থেকেই তিনি কার্যত বিএনপির সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। এর আগে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাকে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব করা হয়েছিল, যা অনেকের মতে দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের পূর্বাভাসই ছিল।

২০২৪ সালের আগস্টে নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া লন্ডনে গিয়ে ছেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সাত বছর পর। এরপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা মা-ছেলে একসঙ্গে সক্রিয় হলে বিএনপির নির্বাচনী চিত্র বদলে যেতে পারে।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য এবং তারেক রহমানের দেশে ফেরা এই দুটি অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি। বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরলে নেতৃত্বের প্রশ্নটি স্পষ্ট হবে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএনপির এই ঘোষণায় দলটি একদিকে যেমন খালেদা জিয়ার ভাবমূর্তি কাজে লাগাতে চাইছে, অন্যদিকে তারেক রহমানকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে। সবশেষে, দলটি জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন এই প্রশ্নের উত্তর সম্ভবত নির্ভর করবে তারেক রহমান কবে দেশে ফেরেন, সেই সময়ের রাজনীতির বাস্তবতায়।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন

দৈনিক টার্গেট

আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন সর্বশেষ খবর পেতে।

ফলো করুন

বিএনপি ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে-তালিকায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান, প্রশ্ন এখন নেতৃত্বে কার হাতে থাকবে

খালেদা না তারেক? নেতৃত্বে ধোঁয়াশা

প্রকাশ: ০১:৩১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এই তালিকায় সবচেয়ে আলোচনায় থাকা নাম দুটি দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ খালেদা জিয়া এবারও তিনটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩। অন্যদিকে তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে প্রশ্ন উঠেছে, বিএনপির প্রচার এবং ভবিষ্যৎ সরকার গঠনে নেতৃত্ব দেবেন কে?

দলের সিনিয়র নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়াকে প্রার্থী করা দলীয় কৌশলের অংশ। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, “আমরা বিশ্বাস করি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দলকে নেতৃত্ব দেবেন, আর নির্বাচনের প্রচারে নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান। আমাদের লক্ষ্য তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখা।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিএনপির এই পদক্ষেপ দ্বৈত বার্তা বহন করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, “খালেদা জিয়াকে প্রার্থী করা মূলত দলটির অস্তিত্ব ও সক্রিয়তার বার্তা। এটি একটি রাজনৈতিক কৌশল, যা দেখায় বিএনপি এখনো নেতৃত্বের সংকটে নেই।”

অন্যদিকে লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, “তারেক রহমান দেশে না ফেরায় অনিশ্চয়তা থেকেই গেছে। সম্ভবত এই কারণেই খালেদা জিয়াকে তিনটি আসনে প্রার্থী করা হয়েছে, যেন দলীয় নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।”

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

২০০৮ সালের পর থেকে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান বর্তমানে দলের কার্যক্রম ভার্চুয়ালি পরিচালনা করছেন। ২০১৮ সালে খালেদা জিয়ার কারাবাসের পর থেকেই তিনি কার্যত বিএনপির সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। এর আগে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাকে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব করা হয়েছিল, যা অনেকের মতে দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের পূর্বাভাসই ছিল।

২০২৪ সালের আগস্টে নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া লন্ডনে গিয়ে ছেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সাত বছর পর। এরপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা মা-ছেলে একসঙ্গে সক্রিয় হলে বিএনপির নির্বাচনী চিত্র বদলে যেতে পারে।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য এবং তারেক রহমানের দেশে ফেরা এই দুটি অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি। বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরলে নেতৃত্বের প্রশ্নটি স্পষ্ট হবে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএনপির এই ঘোষণায় দলটি একদিকে যেমন খালেদা জিয়ার ভাবমূর্তি কাজে লাগাতে চাইছে, অন্যদিকে তারেক রহমানকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে। সবশেষে, দলটি জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন এই প্রশ্নের উত্তর সম্ভবত নির্ভর করবে তারেক রহমান কবে দেশে ফেরেন, সেই সময়ের রাজনীতির বাস্তবতায়।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন