বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি দল ছাড়া প্রায় সবাই আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ ভিত্তিক পাঁচ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
বুলবুল বলেন, “আমরা জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি। প্রচলিত একক পদ্ধতির নির্বাচন দেশকে স্বৈরাচারের দিকে ঠেলে দেয়, কিন্তু পিআর ব্যবস্থায় প্রতিটি ভোটের মূল্য থাকে এবং সব দল প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পায়।”
তিনি অভিযোগ করেন, সংবিধানকে বিভিন্ন সময় দলীয় স্বার্থে পরিবর্তন করা হয়েছে, ফলে তা জনগণের নয়, বরং নির্দিষ্ট দলের সংবিধানে পরিণত হয়েছে। “এজন্য আমরা সংবিধান সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি,” বলেন তিনি।
জামায়াতের এই নেতা আরো বলেন, “নির্বাচনের আগে গণভোট হতে হবে। তবে নির্বাচনের সঙ্গে একইসঙ্গে গণভোট আয়োজন গ্রহণযোগ্য নয়। প্রথমে গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে, তারপর সেই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হতে পারে।”
বুলবুল জানান, জনগণের ভোটাধিকার ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী পাঁচ দফা গণদাবি পেশ করেছে।
জামায়াতের ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি:
১. জুলাই জাতীয় সনদের আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন।
২. জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা।
৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল নিপীড়ন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫. স্বৈরাচারের সহযোগী জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
নূরুল ইসলাম বুলবুলের দাবি, এসব পদক্ষেপই পারে জনগণের অংশগ্রহণমূলক, জবাবদিহিমূলক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনর্গঠনের পথ সুগম করতে।
দৈনিক টার্গেট 























