স্যাংশনেও র‌্যাব-পুলিশের ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়নি: মির্জা ফখরুল

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৬:২২:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
  • ২৮২ বার পঠিত হয়েছে

স্যাংশনেও র‌্যাব-পুলিশের ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের স্যাংশনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘স্যাংশনে অনেকে খুশি হয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি যে, এটা হচ্ছে আরেকটা বিভ্রান্তি করা। আমরা সবাই বিভ্রান্ত হচ্ছি। র‍্যাব এবং পুলিশের ওপরও স্যাংশন হয়েছে, কিন্তু তাদের যে ভয়ঙ্কর যাত্রা, সেই যাত্রা কী বন্ধ হয়েছে? বন্ধ হয়নি।’

মঙ্গলবার (২২ মে) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এই স্মরণসভার আয়োজন করে জাগপার একাংশ।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা দুর্নীতির কারণে। নিষেধাজ্ঞার জন্য যেসব কথা বলা হচ্ছে, সেসব কথা তারাও বলে এসেছেন। দুর্নীতির ব্যাপারে আমরা হাজার বার বলেছি। সারা দুনিয়া বলেছে। তারা অস্বীকার করেছে। আজিজ আহমেদকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণ দুর্নীতি ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রভাবিত করা এবং জনগণের বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করা। এই কথাটাই আমরা বলার চেষ্টা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমার ঘর যদি নিজে সামলাতে না পারি, কেউ এসে সামলে দেবে না। নিজেদের শক্তি নিয়ে এদেরকে পরাজিত করতে হবে। উৎখাত করব কেন? সুষ্ঠু ভোটের মধ্য দিয়ে এদেরকে পরাজিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের আলখেল্লা পরে নির্বাচন নাটক দেখাচ্ছে। এটা কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। গত ১৫ বছরে যে অপকর্ম করেছে সেই ভয়েও তারা সুষ্ঠু ভোট দিতে ভয় পায়। উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে তাতেও জনগনের সায় নেই। প্রকৃত অর্থে এর মাধ্যমে কোনো জনগনের রায়ের প্রতিফলন হচ্ছে না। সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট দিতে ভয় কেন? নিজেরা নিজেরাই ভোট করছে। ভোটে মানুষ আসছে না।’

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, ক্ষমতায় যেতে চাই না, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোটের অধিকার চাই। এতে আওয়ামী লীগের এত ভয় কেন। কারণ তারা যে অপকর্ম করেছে এগুলো তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের হবে সেই ভয়ে। স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল দাবি ছিল গণতন্ত্র, সেই চেতনা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। এখন আবার একদলীয় শাসনের দিকে যখন আওয়ামী লীগ নিয়ে যেতে চায় তার মূল বাধা বিএনপি।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে সরকার অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এটা তাদের সুকৌশল। রাস্তায় নামার বিকল্প নেই। ভয়ের রাজত্ব তৈরি হয়েছে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা কখনো যেন হাল না ছাড়ি, বুকে বল নিয়ে চলি। তরুণ সমাজ কোথায়, দেশের এই অবস্থায় তাদের মধ্যে কি কোনো আলোরিত করে না; এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অন্যকোন পথ চিনি না, আন্দোলনের বিকল্প নেই। জনগণকে বেরিয়ে আসতে হবে। রুখে দাড়াতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি আর লোপাটের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে এই ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব দিয়েছেন। পুরো দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে তারা। অর্থনীতি ধ্বংসের পথে। রিজার্ভ তলানিতে। সাধারণ মানুষ বাজারে যেতে পারেন না। এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব, ইনশাআল্লাহ।’

তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সকলকে আবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয়বাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা, এনডিপি চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন

দৈনিক টার্গেট

আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন সর্বশেষ খবর পেতে।

ফলো করুন

স্যাংশনেও র‌্যাব-পুলিশের ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়নি: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৬:২২:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

স্যাংশনেও র‌্যাব-পুলিশের ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের স্যাংশনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘স্যাংশনে অনেকে খুশি হয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি যে, এটা হচ্ছে আরেকটা বিভ্রান্তি করা। আমরা সবাই বিভ্রান্ত হচ্ছি। র‍্যাব এবং পুলিশের ওপরও স্যাংশন হয়েছে, কিন্তু তাদের যে ভয়ঙ্কর যাত্রা, সেই যাত্রা কী বন্ধ হয়েছে? বন্ধ হয়নি।’

মঙ্গলবার (২২ মে) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এই স্মরণসভার আয়োজন করে জাগপার একাংশ।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা দুর্নীতির কারণে। নিষেধাজ্ঞার জন্য যেসব কথা বলা হচ্ছে, সেসব কথা তারাও বলে এসেছেন। দুর্নীতির ব্যাপারে আমরা হাজার বার বলেছি। সারা দুনিয়া বলেছে। তারা অস্বীকার করেছে। আজিজ আহমেদকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণ দুর্নীতি ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রভাবিত করা এবং জনগণের বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করা। এই কথাটাই আমরা বলার চেষ্টা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমার ঘর যদি নিজে সামলাতে না পারি, কেউ এসে সামলে দেবে না। নিজেদের শক্তি নিয়ে এদেরকে পরাজিত করতে হবে। উৎখাত করব কেন? সুষ্ঠু ভোটের মধ্য দিয়ে এদেরকে পরাজিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের আলখেল্লা পরে নির্বাচন নাটক দেখাচ্ছে। এটা কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। গত ১৫ বছরে যে অপকর্ম করেছে সেই ভয়েও তারা সুষ্ঠু ভোট দিতে ভয় পায়। উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে তাতেও জনগনের সায় নেই। প্রকৃত অর্থে এর মাধ্যমে কোনো জনগনের রায়ের প্রতিফলন হচ্ছে না। সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট দিতে ভয় কেন? নিজেরা নিজেরাই ভোট করছে। ভোটে মানুষ আসছে না।’

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, ক্ষমতায় যেতে চাই না, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোটের অধিকার চাই। এতে আওয়ামী লীগের এত ভয় কেন। কারণ তারা যে অপকর্ম করেছে এগুলো তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের হবে সেই ভয়ে। স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল দাবি ছিল গণতন্ত্র, সেই চেতনা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। এখন আবার একদলীয় শাসনের দিকে যখন আওয়ামী লীগ নিয়ে যেতে চায় তার মূল বাধা বিএনপি।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে সরকার অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এটা তাদের সুকৌশল। রাস্তায় নামার বিকল্প নেই। ভয়ের রাজত্ব তৈরি হয়েছে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা কখনো যেন হাল না ছাড়ি, বুকে বল নিয়ে চলি। তরুণ সমাজ কোথায়, দেশের এই অবস্থায় তাদের মধ্যে কি কোনো আলোরিত করে না; এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অন্যকোন পথ চিনি না, আন্দোলনের বিকল্প নেই। জনগণকে বেরিয়ে আসতে হবে। রুখে দাড়াতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি আর লোপাটের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে এই ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব দিয়েছেন। পুরো দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে তারা। অর্থনীতি ধ্বংসের পথে। রিজার্ভ তলানিতে। সাধারণ মানুষ বাজারে যেতে পারেন না। এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব, ইনশাআল্লাহ।’

তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সকলকে আবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয়বাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা, এনডিপি চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন