সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি দাবি করেছেন, ভারত এখন সর্বশক্তি নিয়োগ করে শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পুনরায় উপস্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতি তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক আলোচনায় তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের জন্য এক ধরনের নীলনকশা অনুসরণ করছে, যার মূল লক্ষ্য তাকে পুনরায় বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা।”
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!রনির মতে, শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক সাক্ষাৎকারগুলোর পেছনেও ভারতের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, “রয়টার্স, ইন্ডিপেনডেন্ট ও এএফপি—এই তিনটি বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারগুলো ভারতের কূটনৈতিক চ্যানেল ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সহায়তায় সম্ভব হয়েছে। বিবিসিও এই সহযোগিতার কথা ইঙ্গিত করেছে।”
তিনি আরও বলেন, ভারতের কৌশলগত মহল শুরুতে শেখ হাসিনার অবস্থানকে ‘লকডাউন’ পর্যায়ে রেখেছিল, যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া, জনগণের মনোভাব এবং রাজনৈতিক স্থিতি মূল্যায়ন করা যায়। এখন তারা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, “আওয়ামী লীগের বিকল্প বন্ধু ভারত পায়নি, আর দলের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনার বিকল্পও নেই।”
রনি দাবি করেন, গত এক বছরে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাবিরোধী মনোভাব অনেকটা প্রশমিত হয়েছে। তার ভাষায়, “জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় যে উত্তেজনা ও ক্ষোভ ছিল, তা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়ে এখন অনেকটা নিরপেক্ষ পর্যায়ে এসেছে।”
তিনি আরও জানান, শেখ হাসিনার সঙ্গে পারিবারিক ও রাজনৈতিক যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপও চলছে। “সম্প্রতি শেখ রেহানা ও সজীব ওয়াজেদ জয় দিল্লিতে তার সঙ্গে দেখা করেছেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উল্লেখ আছে। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা নিয়মিতভাবে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন,” বলেন রনি।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে শেখ হাসিনা নাকি এখনও দলীয় কার্যক্রমে যুক্ত আছেন এমন মন্তব্যও করেন তিনি। রনির বক্তব্যে আরও উঠে আসে, আসন্ন মাসগুলোতে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কয়েকটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন, যা তার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সবশেষে গোলাম মাওলা রনি মন্তব্য করেন, “ভারত এখন এমন এক অবস্থানে আছে যেখানে তারা বিশ্বাস করে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও তাদের কৌশলগত স্বার্থের জন্য শেখ হাসিনা-ই একমাত্র কার্যকর সমাধান।”