জুলাই মাসে ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দীর্ঘ শুনানি শেষ করে ট্রাইব্যুনাল-১–এর তিন সদস্যের বেঞ্চ, যার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি মোঃ গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে এ ঐতিহাসিক রায় প্রকাশ করা হয়।
ট্রাইব্যুনাল জানায়, মামলার দ্বিতীয় নম্বর অভিযোগে প্রমাণিত অপরাধের ভিত্তিতে তাকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর প্রথম অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। উভয় অভিযোগই জুলাইয়ের আন্দোলন-সংকটকালীন সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিচালিত বিচার প্রক্রিয়ার অংশ।
শামারুহ মির্জার প্রতিক্রিয়া: “রায় শুনে কেঁদে ফেলেছি” রায় ঘোষণার কিছুক্ষণ পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মেয়ে শামারুহ মির্জা।
বিকেলে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন “রায় দিল। আব্বুকে ফোন করলাম! কাঁদলাম! ২০১৩ সাল থেকে আমি এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। আমাদের জীবনে হাসিনা যে ভয়াবহ ক্ষতি করেছে, অসংখ্যবার ভেবেছি কবে সুযোগ পাব, তার বিরুদ্ধে মামলা করব আমাদের মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতির জন্য।”
তিনি আরো যোগ করেন “এই ১২ বছরে কত লাখ পরিবার ধ্বংস হয়েছে হাসিনার কারণে। কত মানুষ হত্যা হলো, গুম হলো! মজলুমের দোয়া আজ কবুল হয়েছে। আল্লাহ মহান।”
জুলাইয়ে দেশব্যাপী সংঘটিত আন্দোলন, সহিংসতা, নিপীড়ন ও প্রাণহানির বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। দীর্ঘ তদন্ত ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ট্রাইব্যুনাল আজ রায় ঘোষণা করে।
মামলার রায় ঘোষণার মাধ্যমে এই ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সম্পন্ন হলো। এখন নজর থাকবে পরবর্তী আইনগত ধাপ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে এর প্রভাবের দিকে।
দৈনিক টার্গেট 












