খুলনার কয়রা উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে। খুলনা জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীকে পুনরায় জেলা সদস্য সচিব পদে মনোনয়ন দেওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলো আনন্দ মিছিল বের করে। এতে অংশ নেন হাজারো নেতাকর্মী, যা স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা সদরের তিন রাস্তার মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। মিছিলটি সদরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় তিন রাস্তার মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রূপ নেয়। নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও দলীয় পতাকা নিয়ে উৎসাহে অংশগ্রহণ করেন। আকাশে বেলুন উড়িয়ে এবং মিষ্টি বিতরণ করে তারা আনন্দ প্রকাশ করেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক জি. এম. মাওলা বক্স। তিনি বলেন, “মনিরুল হাসান বাপ্পী একজন ত্যাগী, নিবেদিতপ্রাণ এবং দক্ষ সংগঠক। তার নেতৃত্বে খুলনা জেলা বিএনপি আরও শক্তিশালী ও গতিশীল হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত মাঠপর্যায়ের কর্মীদের মনে নতুন উদ্দীপনা জাগিয়েছে।”

অন্যান্য বক্তারা হলেন উপজেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা গোলাম মোস্তফা, বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাররম হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোহতাসিম বিল্লাহ, যুবদল নেতা আহাদুর রহমান লিটন, ডি. এম. জাহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান খোকন, আবু তাহের, মোস্তাফিজুর রহমান রাজু। এছাড়া উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ সিরাজুল ইসলাম, আমাদি ইউনিয়নের সাবেক সদস্য সচিব প্রভাষক আবুল কালাম, মহেশ্বরীপুরের সাবেক সদস্য সচিব নাজমুল হুদা, মহারাজপুরের সাবেক সদস্য সচিব মাস্টার জামাল ফারুক জাফরিন, বাগালি ইউনিয়নের সাবেক সদস্য সচিব জি. এম. আব্দুল গফফার উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি নেতা লুৎফা রহমান, কামরুল ইসলাম খান, উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আকবর হোসেন, সদস্য সচিব আব্দুর রউফ, মোস্তাফিজুর রহমান হেলাল, ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান সবুজ, আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাশেদুল ইসলামও বক্তব্য দেন। তারা একবাক্যে বলেন, বাপ্পী ভাইয়ের মতো যোগ্য নেতা পাওয়া দলের জন্য সৌভাগ্য। এই মনোনয়ন বিএনপির ঐক্যকে আরও মজবুত করবে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গতি আনবে। কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

মিছিল ও সমাবেশে স্থানীয় জনগণের ব্যাপক সাড়া পড়ে। অনেকে রাস্তার পাশ থেকে হাত নেড়ে সমর্থন জানান। নেতারা জানান, এই উৎসাহ দলকে আরও সক্রিয় করবে। খুলনা জেলা বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মসূচিতে এই নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তারা আশাবাদী।

এই ঘটনা প্রমাণ করে, বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে এখনও জীবন্ত উদ্দীপনা রয়েছে। মনিরুল হাসান বাপ্পীর পুনর্মনোনয়ন শুধু একটি পদের সিদ্ধান্ত নয়, বরং দলের পুনর্জাগরণের প্রতীক। কয়রাবাসী এই আনন্দে মেতে উঠে নতুন করে দলীয় কার্যক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।