লক্ষ্য খুব বড় ছিল না, মাত্র ১০৪ রানের। দক্ষিণ আফ্রিকার যে ব্যাটিং লাইনআপ, ডাচ বোলিংকে উড়িয়ে সহজেই জিতে যাবে প্রোটিয়ারা-এমনটা ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। তবে জয়টা এত সহজে আসেনি। বরং রান তাড়ায় নেমে হারের শঙ্কাও পেয়ে বসেছিল প্রোটিয়াদের।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!শেষ পর্যন্ত অবশ্য অঘটন ঘটেনি। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে ভয় কাটিয়ে স্বস্তির এক জয় তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। নেদারল্যান্ডসকে তারা হারিয়েছে ৪ উইকেট আর ৭ বল হাতে রেখে।
নেদারল্যান্ডসের বোলাররা রান তাড়ার শুরুতেই প্রোটিয়াদের চাপে ফেলে দেন। ৩ রানে ৩টি আর ১২ রানে ৪টি উইকেট খুইয়ে রীতিমত ধুঁকছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন ত্রিস্তান স্টাবস আর ডেভিড মিলার।
রান তাড়ায় নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডি কক পড়েন রানআউটের ফাঁদে। পরের ওভারে রিজা হেনড্রিকসকে (১০ বলে ৩) বোল্ড করেন লগান ফন বিক।
তৃতীয় ওভারে আরও এক উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এবার ভিভিয়ান কিংমার লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম (৩ বলে ০)। এরপর হেনরিখ ক্লাসেন (৭ বলে ৪) হন কিংমার দ্বিতীয় শিকার।
১২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছিল প্রোটিয়ারা। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন ত্রিস্তান স্টাবস আর ডেভিড মিলার। পঞ্চম উইকেটে ৭২ বলে ৬৫ রান যোগ করেন তারা। ৩৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলা স্টাবসকে আউট করে এই জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন বেস ডি লিডে।
তবে ডেভিড মিলার দায়িত্ব নিয়ে খেলে ম্যাচ শেষ করে এসেছেন। ৫১ বলে ৩ চার আর ৪ ছক্কায় ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বার্টম্যান-নরকিয়া-জানসেনদের পেস আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল নেদারল্যান্ডস। ১৭ রানে ৩ আর ৪৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
সেখান থেকে সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট আর লগান ফন বিকের ৪৫ বলে ৫৪ রানের জুটিতে মান বাঁচায় ডাচরা। এঙ্গেলব্রেখট ৪৫ বলে করেন ৪০, ফন বিক ২২ বলে ২৩। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে নেদারল্যান্ডস তোলে ১০৩ রান।
ওটেনিস বার্টম্যান মাত্র ১১ রানে নেন ৪টি উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার মার্কো জানসেন আর অ্যানরিচ নরকিয়ার।
দৈনিক টার্গেট 

























