আজ বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ব্যাটার ও উইকেটরক্ষক লিটন কুমার দাসের জন্মদিন। ১৯৯৪ সালের এই দিনে দিনাজপুরের এক সাধারণ পরিবারে জন্ম নেওয়া ছেলেটি আজ দেশের ক্রিকেটের পরিচিত মুখ।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!তিন দশক পেরিয়ে লিটনের বয়স এখন ৩১ বছর, কিন্তু ব্যাট হাতে তাঁর দৃঢ়তা এখনও তরুণদের মতোই তেজস্বী।
দেশজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভেচ্ছায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন এই তারকাকে। টুইটার (এক্স), ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ সব প্ল্যাটফর্মে ভক্তরা পোস্ট দিচ্ছেন – “Happy Birthday Litton Das” ট্যাগে ভরে গেছে ক্রিকেটভক্তদের ফিড।
লিটন দাসের ক্রিকেটজীবন শুরু হয় অনেক ছোটবেলা থেকেই। দিনাজপুর জেলা দলের হয়ে বয়সভিত্তিক দলে খেলার পর তিনি জায়গা করে নেন বিকেএসপি-তে। সেখান থেকেই গড়ে ওঠে তাঁর দৃঢ় ব্যাটিং কৌশল ও উইকেটকিপিং দক্ষতা।
২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে লিটনের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। শুরুটা ছিল চুপচাপ, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের ব্যাটে তিনি জানান দিয়েছেন জাত চিনিয়ে।
২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাঁর অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস, কিংবা ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে অসাধারণ সেঞ্চুরি – সবই এখনো ভক্তদের মনে গেঁথে আছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ওয়ানডে ইনিংসের মালিক লিটন দাস – তাঁর ১৭৬ রানের ইনিংস আজও একটি গর্বের মুহূর্ত।
টেস্টেও একাধিক অর্ধশতক ও সেঞ্চুরিতে দলের ভরসা হয়েছেন তিনি।
কেবল ব্যাট নয়, গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনেও লিটন সবসময় তীক্ষ্ণ নজরে রাখেন – নিখুঁত কিপিং, দ্রুত স্টাম্পিং আর সাহসী ডাইভে তিনি ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
২০২৫ সালের শুরুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করে, তখন লিটনের নাম না থাকায় আলোচনা শুরু হয় ক্রিকেট মহলে। অনেক সমালোচক মনে করেন, সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর পারফর্মেন্সে ওঠানামা থাকলেও লিটনের মতো ব্যাটারকে বাদ দেওয়া বড় ভুল।
তবে লিটন নিজে সবসময়ই ইতিবাচক। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “খেলা আমার ভালোবাসা, জাতীয় দলে আবার ফিরতে কঠোর পরিশ্রম করছি। সমর্থকদের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা।”
আজ সারাদিন জুড়ে দেশের ক্রিকেটাররা, সাবেক অধিনায়করা এবং অসংখ্য ভক্ত শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাঁকে। কেউ লিখছেন, “বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক নির্ভরতার নাম লিটন দাস”, কেউ বলছেন, “তুমি ফিরে এসো আগের মতো আগুনে ফর্মে।”
দিনাজপুরের মানুষের কাছে লিটন আজ শুধু এক ক্রিকেটার নয়, তিনি এক গর্বের প্রতীক।
তার সতীর্থ মেহেদী হাসান মিরাজ সোশ্যাল পোস্টে লিখেছেন -“ভাই, তোমার জন্মদিনে শুভকামনা। তুমি আবার তোমার ব্যাট দিয়ে সবাইকে চমকে দিও।”
লিটন এখন ব্যক্তিগত জীবনে স্থিতিশীল। স্ত্রী দেবশ্রী বিশ্বাস স্নিগ্ধাকে নিয়ে সুখের সংসার তাঁর। পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেট ও বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছেন নিয়মিত।
বিশ্লেষকদের মতে, সামনে ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লিটনের দলে ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
আজ লিটনের জন্মদিনে একটাই প্রত্যাশা তিনি যেন আবার আগের মতো ছন্দে ফিরে আসেন, ব্যাটে-বলে ভরিয়ে দেন দেশের গর্বের কাহিনি।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে যেভাবে তাঁর নাম লেখা আছে, তেমনি আগামী দিনেও যেন উজ্জ্বল হয়ে থাকে সেই অধ্যায়।
শুভ জন্মদিন, লিটন দাস-দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে তুমি চিরকালীন অনুপ্রেরণা।
দৈনিক টার্গেট 























