ছাত্র আন্দোলনে মেয়েকে যেতে বলেছিলেন মাশরাফি

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ১০:০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • ৩৭৯ বার পঠিত হয়েছে

অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতন হওয়ার ৯ দিন পর মুখ খুললেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই আওয়ামী লীগ সমর্থিত অনেক মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসন থেকে দুইবারের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার বাড়ির নামও রয়েছে। যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশত্যাগের পর গা ঢাকা দিয়েছেন বাকি সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা। অনেকে দেশও ছেড়েছেন। তবে দেশেই আছেন নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি।

মাশরাফি গতকাল একটি অনলাইন পোর্টালের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ছাত্রদের আন্দোলনের পক্ষে কথা বলতে না পেরে পুরোপুরি হতাশ তিনি। যৌক্তিক আন্দোলনে নিজের অবস্থান জানাতে না পারার দায় পুরোপুরি নিয়েছেন সাবেক তারকা ক্রিকেটার।

মাশরাফি বলেন, ‘এখন এইগুলোর উত্তর দেওয়াটা (নীরব থাকার) আমার কাছে মনে হয় একদম শুধু শুধু হবে। আর যদি এক কথায় উত্তর দেই, তাহলে বলতে হয় আমি আসলে ব্যর্থ হয়েছি এখানে। অ্যাবসুলেটলি ব্যর্থ হয়েছি।’

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় কথা হচ্ছে কথা যদি বলতো হতো, যৌক্তিক কোটা সংস্কার নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছিল শুরুতে; সবাই যখন চেয়েছিল আমি কথা বলি। তখন যৌক্তিকভাবে কোটা সংস্কার হবে এটা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছিল। বা আমার কাছে মনে হচ্ছিল কোটা সংস্কার হয়তো হবে। ’

এদিকে নিজে কিছু না বললেও পরিবারের সদস্যদের ছাত্র আন্দোলনে যেতে বাধা দেননি, বরং উৎসাহ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাশরাফি। মেয়েকে বলেছেন, সহপাঠীদের সঙ্গে আন্দোলনে থাকতে।

মাশরাফি বলেন, শুধু আমি নই, আমার মনে হয়, এই আন্দোলন নিয়ে যা কিছু লিখতে বা করতে পারেনি, তাদের সবাইকেই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে নিজের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা ঘনিষ্ঠজনদের কাছে।’

‘আমার মেয়ে হুমায়রা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে। আমার সেখানে অ্যাকাউন্ট থাকলেও সেভাবে দেখতাম না, ওকেও ফলো করতাম না। আমাকে আমার এক ছোট ভাই জানাল যে, হুমায়রা ইনস্টাগ্রামে অনেক কিছু দিচ্ছে বা শেয়ার করছে। ১৭ জুলাই থেকেই দিচ্ছে। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম। ও বলল, ‘হ্যাঁ, আমি এসব দিচ্ছি। তোমার কি আপত্তি আছে?’ আমি বললাম, ‘না, আমার সমস্যা নেই।’ আমি বরং ওকে এটাও বলেছি, ‘তোমার স্কুল থেকে বা বন্ধুরা আন্দোলনে গেলে তুমিও সঙ্গে থেকো।’ আমার পদের জন্য বা চেয়ারের জন্য তাকে বাধা পেতে হবে, এটা কখনও চাইনি’- যোগ করেন মাশরাফি।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন

দৈনিক টার্গেট

আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন সর্বশেষ খবর পেতে।

ফলো করুন

ছাত্র আন্দোলনে মেয়েকে যেতে বলেছিলেন মাশরাফি

প্রকাশ: ১০:০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট ২০২৪

অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতন হওয়ার ৯ দিন পর মুখ খুললেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই আওয়ামী লীগ সমর্থিত অনেক মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসন থেকে দুইবারের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার বাড়ির নামও রয়েছে। যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশত্যাগের পর গা ঢাকা দিয়েছেন বাকি সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা। অনেকে দেশও ছেড়েছেন। তবে দেশেই আছেন নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি।

মাশরাফি গতকাল একটি অনলাইন পোর্টালের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ছাত্রদের আন্দোলনের পক্ষে কথা বলতে না পেরে পুরোপুরি হতাশ তিনি। যৌক্তিক আন্দোলনে নিজের অবস্থান জানাতে না পারার দায় পুরোপুরি নিয়েছেন সাবেক তারকা ক্রিকেটার।

মাশরাফি বলেন, ‘এখন এইগুলোর উত্তর দেওয়াটা (নীরব থাকার) আমার কাছে মনে হয় একদম শুধু শুধু হবে। আর যদি এক কথায় উত্তর দেই, তাহলে বলতে হয় আমি আসলে ব্যর্থ হয়েছি এখানে। অ্যাবসুলেটলি ব্যর্থ হয়েছি।’

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় কথা হচ্ছে কথা যদি বলতো হতো, যৌক্তিক কোটা সংস্কার নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছিল শুরুতে; সবাই যখন চেয়েছিল আমি কথা বলি। তখন যৌক্তিকভাবে কোটা সংস্কার হবে এটা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছিল। বা আমার কাছে মনে হচ্ছিল কোটা সংস্কার হয়তো হবে। ’

এদিকে নিজে কিছু না বললেও পরিবারের সদস্যদের ছাত্র আন্দোলনে যেতে বাধা দেননি, বরং উৎসাহ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাশরাফি। মেয়েকে বলেছেন, সহপাঠীদের সঙ্গে আন্দোলনে থাকতে।

মাশরাফি বলেন, শুধু আমি নই, আমার মনে হয়, এই আন্দোলন নিয়ে যা কিছু লিখতে বা করতে পারেনি, তাদের সবাইকেই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে নিজের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা ঘনিষ্ঠজনদের কাছে।’

‘আমার মেয়ে হুমায়রা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে। আমার সেখানে অ্যাকাউন্ট থাকলেও সেভাবে দেখতাম না, ওকেও ফলো করতাম না। আমাকে আমার এক ছোট ভাই জানাল যে, হুমায়রা ইনস্টাগ্রামে অনেক কিছু দিচ্ছে বা শেয়ার করছে। ১৭ জুলাই থেকেই দিচ্ছে। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম। ও বলল, ‘হ্যাঁ, আমি এসব দিচ্ছি। তোমার কি আপত্তি আছে?’ আমি বললাম, ‘না, আমার সমস্যা নেই।’ আমি বরং ওকে এটাও বলেছি, ‘তোমার স্কুল থেকে বা বন্ধুরা আন্দোলনে গেলে তুমিও সঙ্গে থেকো।’ আমার পদের জন্য বা চেয়ারের জন্য তাকে বাধা পেতে হবে, এটা কখনও চাইনি’- যোগ করেন মাশরাফি।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন