মহিলা বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল মানেই তীব্র উত্তেজনা। একদিকে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া, অন্যদিকে ঘরের মাঠে আত্মবিশ্বাসী ভারত। পরিসংখ্যান, অভিজ্ঞতা সবই যেন অজিদের পক্ষেই কথা বলছিল। ৩৩৭ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে ম্যাচে আধিপত্যও দেখিয়েছিল তারা। তবে ক্রিকেট যে অনিশ্চয়তার খেলা, তা আবারও প্রমাণ করে দিল হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!ম্যাচের আগে অনেকেই মনে করেছিলেন, এত বড় টার্গেট তাড়া করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু খেলার আগেই ভারতীয় শিবিরে আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার ও ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ। তিনি বলেছিলেন, “অস্ট্রেলিয়া দুর্দান্ত দল, কিন্তু তারা অজেয় নয়। মাঠে নামলেই সম্ভাবনা তৈরি হয়।” তাঁর সেই কথাই যেন ম্যাচ শেষে বাস্তবে রূপ নিল।
ভারতের পক্ষে প্রধান ভরসা ছিল ঘরের মাঠের সুবিধা এবং দর্শকদের সমর্থন। তবুও এত বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় পাওয়া ছিল এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। কিন্তু খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তাই বদলে দিল সব হিসাব।
প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৩৩৭ রানের বিশাল স্কোর। জবাবে ব্যাট হাতে নেমে শুরুতেই কিছু উইকেট হারালেও ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যান জেমাইমা রদ্রিগেজ। তাঁর ব্যাট থেকে আসে অবিশ্বাস্য এক সেঞ্চুরি ১২৭ রান। অপর প্রান্তে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরও খেলেন অনবদ্য ৮৯ রানের ইনিংস। দুই তারকার দাপুটে পারফরম্যান্সে ভারতের নারীরা জয় ছিনিয়ে নেয় অসম্ভব বলে বিবেচিত এক ম্যাচে।
পরিসংখ্যান বলছিল, দুই দলের আগের ৬০ মোকাবিলায় ৪৯ বারই জয়ী হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, এবং সাম্প্রতিক তিন ম্যাচেও তারাই ছিল এগিয়ে। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে ইতিহাস বদলে যেতে পারে এ কথার প্রমাণ দিল ভারত।
ইয়ান বিশপের অনুপ্রেরণা, হরমনপ্রীতের নেতৃত্ব এবং জেমাইমার অসাধারণ ইনিংস মিলিয়ে এক নতুন অধ্যায় লিখল ভারতের নারী ক্রিকেট দল। প্রমাণ করল, মনোবল থাকলে কোনো পাহাড়ই অতিক্রম্য নয়।
দৈনিক টার্গেট 























