বিশ্বকাপের শিরোপা তো দূরের কথা, আজকের আগে কখনও ফাইনালও খেলেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতও গত এক দশক ধরে ‘চোকার্স’ তকমা বয়ে বেড়াচ্ছে। দুদলের সামনেই আজ অপবাদ ঘুচানোর সুযোগ। অপবাদ ঘুচাতে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ১৭৭ রান। ভারতেরটা তো জানেনই; লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই প্রোটিয়াদের আটকাও।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!ভারত ১৭৬ রান করেছে ৭ উইকেট হারিয়ে।
বারবাডোজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারণী এ ম্যাচে পাওয়ার প্লেতেই ভারতকে চেপে ধরে প্রোটিয়ারা। ৩৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে রোহিত শর্মা বাহিনী। দ্বিতীয় ওভারে রোহিত শর্মাকে দিয়ে শুরু। শূন্য রানে ফেরেন রিশভ পন্ত। সূর্যকুমার যাদব করেন মাত্র ৩। অথচ প্রথম ওভারে রানের ফোয়ারা বইয়ে দেন পুরো আসরে ফর্মহীনতায় ভোগা কোহলি। তার তাণ্ডবে ওই ওভারে ১৫ রান দেন বাঁহাতি পেসার মার্কো জানসেন। দ্বিতীয় ওভারে আর পেসারের ওপর নির্ভর করেননি এইডেন মারক্রাম। তিনি বল তুলে দেন কেশভ মহারাজের হাতে।
হতাশ করেননি মহারাজ। ওভারের চতুর্থ বলে রোহিতকে হেইনরিখ ক্লাসেনের ক্যাচ বানান তিনি। ৫ বলে ৯ রান করেন ভারতীয় কাপ্তান। রিশভ খুলতে পারেননি রানের খাতাই। ২ বল খেলে রাবাদার শিকারে পরিণত হন তিনি। চার নম্বরে নামা সূর্যকুমার অফ স্টাম্পের দিকে ছোঁড়া কাগিসো রাবাদার ডেলিভারিটি মিডঅনের দিকে উড়িয়ে মেরেছিলেন। তিনি ধরা পড়তে পারতেন রায়ান রিকেলটনের হাতে। একটুর জন্য জীবন পান টি-টোয়েন্টির ২ নম্বর ব্যাটার। কিন্তু আর ২ বলের মুখোমুখি হয়েই রাবাদার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ৪ বলে ৩ রান করেন সূর্যকুমার।
৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ভারত এরপর যে চালটা খেলে, তা বোধহয় প্রোটিয়ারা প্রত্যাশা করেনি। প্রমোশন দিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট এদিন লোয়ার মিডলঅর্ডারের অক্ষর প্যাটেলকে নামায় ৫ নম্বরে, শিভম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজারও আগে। ২টি ব্যতিক্রম ছাড়া আগের ম্যাচগুলোতে এই তিনজনের পরেই নেমেছিলেন তিনি। বলতেই হয়- ভারতের চালটা কাজে লেগেছে। পাওয়ার প্লেতে যে বিপর্যয় তৈরি হয়েছিল, প্যাটেল-কোহলির উইকেটেই তা উতরায় ভারত। পরপর দুই ওভারে মারক্রাম ও মহারাজকে স্লগ সুইপে ২টি ছক্কাও হাঁকান বাজির ঘোড়া প্যাটেল।
দেড়শর বেশি স্ট্রাইকরেটে ৪৭ করে রানআউট হন প্যাটেল। তার ইনিংসে ১টি চার, কিন্তু ছয় ৪টি। কোহলির সঙ্গে তার জুটি হয় ৭২ রানের। প্যাটেল টি-টোয়েন্টির মেজাজে খেললেও প্রথম ওভারে তাণ্ডব শুরু করা কোহলি গতি কমিয়ে দেন। ফিফটি পূর্ণ করার সময় তার স্ট্রাইকরেট নেমে আসে একশর কাছাকাছি। অবশ্য এরপর আবার প্রোটিয়া বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনি।
শিভম দুবেকে সঙ্গে নিয়ে মারমুখী হন কোহলি। ফলে ১৮তম ওভারে উঠে ১৬ রান। ১৯তম ওভারেও ১৭ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। ওই ওভারেই আউট হন কোহলি। ৫৯ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৭৪ রান করেন তিনি। দুবে আউট হন ১৬ বলে ২৭ রান করে।
দৈনিক টার্গেট 























