যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ ক্রিকেটারের জন্মই অন্য কোনো দেশে, কয়েকজন এখনও অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত- দেশটির ক্রিকেটের সত্যিকারের চিত্রটা বোধহয় এ কথা থেকেই অনুধাবন করা যায়। কিন্তু তাদের হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই, বাংলাদেশকে সিরিজ হারানোর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে কানাডার দেয়া পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করে সেটাই যেন বুঝিয়ে দিল মোনাঙ্ক প্যাটেল বাহিনী।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!ডালাসের গ্রান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় শনিবার (১ জুন) কানাডার দেয়া ১৯৫ রান তাড়া করে ৭ উইকেটে জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র, হাতে ছিল ১৪ বল।
রান তাড়ায় সহ-আয়োজকদের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। কোনো রান তোলার আগেই ওপেনার স্টেভেন টেইলরের উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। দলীয় ৪২ রানে ফিরে যান অধিনায়ক মোনাঙ্ক। এরপর আন্দ্রিস গোস ও অ্যারন জোনস যেটা করলেন, তা চোখে লেগে থাকার মতো। প্রথমদিকে তাদের টিকে থাকার লড়াই, শেষে শুরু করেন তাণ্ডব। মাত্র ৫৫ বলে দুজনে মিলে ১৩১ রানের বড় জুটি গড়েন তারা।
৪৬ বলে ৬৫ রান করে নিকিল দত্ত’র ওভারে আউট হন গোস। জোনস জয় সঙ্গে করে নিয়েই ক্রিজ ছাড়েন। কানাডার বোলারদের ওপর হিম হাওয়া বইয়ে দেয়া ইনিংসে ৪০ বলে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ১০টি ছয় ও ৪টি চারের মার।
এর আগে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান করে কানাডা। ১৯তম ওভারে ১৪ রানের পর শেষ ওভারে ২১ রান তুলে দলটি। ওই ওভারগুলোতে ক্যামিও খেলা শ্রেয়াস মোভা ১৬ বলে ৩২ ও দিলপ্রিত সিং ৫ বলে ১১ রান করেন।
কানাডার বড় সংগ্রহের গোড়াপত্তন করে দিয়ে যান তাদের টপঅর্ডারের দুই ব্যাটার। ৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি হয় এদিন। ২৩ রান করে অ্যারন জনসন বিদায় নেন পাওয়ারপ্লের মধ্যেই। ওয়ানডাউনে নামা পারগাত সিং স্কোর বোর্ডে ৫ যোগ করে রানআউট হন। এরপর অর্ধশতক ছাড়ানো জুটি করেন ওপেনার নাভনিত ধালিওয়াল ও নিকোলাস কিরটন।
৬২ রানের জুটিতে ধালিওয়াল হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। ৪৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৬১ রান করেন ধালিওয়াল। এরপর হাফসেঞ্চুরি করেন কিরটনও। ৩১ বলে ৫১ রানের ইনিংসে তিনি ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মার খেলেন। শেষদিকে তো ঝড়ই তুলেন মোভা ও দিলপ্রিত। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন আলি খান, হারমিত সিং ও কোরি অ্যান্ডারসন।
দৈনিক টার্গেট 

























