শেষ ওভারে মাত্র ৯ রান দরকার ছিল, কিন্তু চামারি আতাপাত্তুর স্পিনে ধসে পড়ে বাংলাদেশ নারী দলের ব্যাটিং অর্ডার ৭ রানের হারে থেমে গেল সেমিফাইনালের স্বপ্ন

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে সেমির স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ১১:১৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • ৬৮ বার পঠিত হয়েছে

শারমিন আক্তার

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান কিন্তু ঠিক সেখানেই থেমে গেল বাংলাদেশের মেয়েদের স্বপ্নযাত্রা। শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার চামারি আতাপাত্তুর স্পিনে জড়িয়ে পড়ে একে একে সাজঘরে ফিরলেন রাবেয়া, নাহিদা, জ্যোতি ও মারুফা। শেষ দুই বলে ৯ রানের সমীকরণ থেকে বাংলাদেশ নিতে পারল কেবল এক রান। ফলে ৭ রানের হারে শেষ হলো সেমিফাইনালের আশা।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সোমবার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ৪৮.৪ ওভারে তারা গুটিয়ে যায় ২০২ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৫ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন পেরেরা। বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার স্বর্ণা আক্তার-মাত্র ২৭ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে তিনিই ইনিংসের সেরা বোলার।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শূন্য রানে আউট হন ওপেনার রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। অপর ওপেনার ফারজানা হক দেখেশুনে খেললেও ছন্দ খুঁজে পাননি, ৩৫ বলে ৭ রান করে ফিরতে হয় তাকেও। চারে নামা সুবহানা মুস্তারিও স্থায়ী হতে পারেননি, ১৩ বলে করেন মাত্র ৮ রান। তখন দলীয় স্কোর মাত্র ৪৪ রানে ৩ উইকেট।

এরপর চাপ সামলাতে এগিয়ে আসেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও অভিজ্ঞ শারমিন আক্তার সুপ্তা। দুজনের জুটিতে দল কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সুপ্তা ৬৪ রানে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। পরে স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে লড়াই চালান জ্যোতি, কিন্তু ১৯ রানে স্বর্ণা আউট হলে আবার ধস নামে ব্যাটিং অর্ডারে।

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন জ্যোতি। ধীরে ধীরে ইনিংস গড়ে তোলার পর শেষ ওভারে তাকেও হারাতে হয়-৭৭ রানের অনবদ্য ইনিংসটি ব্যর্থতার আড়াল ঢাকতে পারেনি। ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশ থামে ১৯৫ রানে, হাতে থাকে মাত্র একটি উইকেট।

এর আগে ইনিংসের প্রথম বলেই বাংলাদেশকে এনে দেন স্বপ্নের সূচনা মারুফা আক্তার। তার নিখুঁত সুইংয়ে এলবিডব্লিউ হন ভিষমি গুনারত্নে। এরপর আতাপাত্তু-পেরেরা জুটি লঙ্কান ইনিংসকে টেনে তোলেন ৭২ রানের অংশীদারিত্বে। আতাপাত্তু ৪৬ রান করে ফিরলেও পেরেরা এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে টেনে নেন দুইশর ঘরে।

শেষ দিকে বাংলাদেশের বোলাররা নিয়ন্ত্রণ নিলেও মাঝের সেই পার্টনারশিপই আসলে পার্থক্য গড়ে দেয় ম্যাচে। রাবেয়া খান ৩৯ রানে ২ উইকেট নেন, তবে শেষ পর্যন্ত ২০২ রানের লক্ষ্যই হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের মেয়েদের কাছে অতিক্রম্য।

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ভরপুর ম্যাচে জয় হাতছাড়া হলেও বাংলাদেশ নারী দলের লড়াইয়ের মনোভাব প্রশংসনীয়। তবে এই হারের সঙ্গে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল দৌড় থেকে ছিটকে গেল তারা।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন

দৈনিক টার্গেট

আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন সর্বশেষ খবর পেতে।

ফলো করুন

শেষ ওভারে মাত্র ৯ রান দরকার ছিল, কিন্তু চামারি আতাপাত্তুর স্পিনে ধসে পড়ে বাংলাদেশ নারী দলের ব্যাটিং অর্ডার ৭ রানের হারে থেমে গেল সেমিফাইনালের স্বপ্ন

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে সেমির স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

প্রকাশ: ১১:১৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান কিন্তু ঠিক সেখানেই থেমে গেল বাংলাদেশের মেয়েদের স্বপ্নযাত্রা। শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার চামারি আতাপাত্তুর স্পিনে জড়িয়ে পড়ে একে একে সাজঘরে ফিরলেন রাবেয়া, নাহিদা, জ্যোতি ও মারুফা। শেষ দুই বলে ৯ রানের সমীকরণ থেকে বাংলাদেশ নিতে পারল কেবল এক রান। ফলে ৭ রানের হারে শেষ হলো সেমিফাইনালের আশা।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সোমবার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ৪৮.৪ ওভারে তারা গুটিয়ে যায় ২০২ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৫ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন পেরেরা। বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার স্বর্ণা আক্তার-মাত্র ২৭ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে তিনিই ইনিংসের সেরা বোলার।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শূন্য রানে আউট হন ওপেনার রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। অপর ওপেনার ফারজানা হক দেখেশুনে খেললেও ছন্দ খুঁজে পাননি, ৩৫ বলে ৭ রান করে ফিরতে হয় তাকেও। চারে নামা সুবহানা মুস্তারিও স্থায়ী হতে পারেননি, ১৩ বলে করেন মাত্র ৮ রান। তখন দলীয় স্কোর মাত্র ৪৪ রানে ৩ উইকেট।

এরপর চাপ সামলাতে এগিয়ে আসেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও অভিজ্ঞ শারমিন আক্তার সুপ্তা। দুজনের জুটিতে দল কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সুপ্তা ৬৪ রানে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। পরে স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে লড়াই চালান জ্যোতি, কিন্তু ১৯ রানে স্বর্ণা আউট হলে আবার ধস নামে ব্যাটিং অর্ডারে।

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন জ্যোতি। ধীরে ধীরে ইনিংস গড়ে তোলার পর শেষ ওভারে তাকেও হারাতে হয়-৭৭ রানের অনবদ্য ইনিংসটি ব্যর্থতার আড়াল ঢাকতে পারেনি। ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশ থামে ১৯৫ রানে, হাতে থাকে মাত্র একটি উইকেট।

এর আগে ইনিংসের প্রথম বলেই বাংলাদেশকে এনে দেন স্বপ্নের সূচনা মারুফা আক্তার। তার নিখুঁত সুইংয়ে এলবিডব্লিউ হন ভিষমি গুনারত্নে। এরপর আতাপাত্তু-পেরেরা জুটি লঙ্কান ইনিংসকে টেনে তোলেন ৭২ রানের অংশীদারিত্বে। আতাপাত্তু ৪৬ রান করে ফিরলেও পেরেরা এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে টেনে নেন দুইশর ঘরে।

শেষ দিকে বাংলাদেশের বোলাররা নিয়ন্ত্রণ নিলেও মাঝের সেই পার্টনারশিপই আসলে পার্থক্য গড়ে দেয় ম্যাচে। রাবেয়া খান ৩৯ রানে ২ উইকেট নেন, তবে শেষ পর্যন্ত ২০২ রানের লক্ষ্যই হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের মেয়েদের কাছে অতিক্রম্য।

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ভরপুর ম্যাচে জয় হাতছাড়া হলেও বাংলাদেশ নারী দলের লড়াইয়ের মনোভাব প্রশংসনীয়। তবে এই হারের সঙ্গে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল দৌড় থেকে ছিটকে গেল তারা।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন