ইসরায়েলি অবরোধে ক্ষতবিক্ষত গাজা উপত্যকার মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে আবারও সমুদ্রপথে রওনা হয়েছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী জোট ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)-এর নতুন নৌবহর।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় এক ঘোষণায় জোটটি জানায়, গাজার উপকূল থেকে প্রায় ১৫০ নটিক্যাল মাইল (প্রায় ২৭৭ কিলোমিটার) দূরত্বে অবস্থান করছে তাদের নৌবহর। এ বহরে খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ভূমধ্যসাগরের ঢেউ পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে নয়টি নৌযান। সঙ্গে রয়েছেন এক শতাধিক আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী ও ক্রু সদস্য।
জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, “গাজার পথে আমাদের যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, অবরুদ্ধ মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এখন সময়ের দাবি।”
এর আগে, গত আগস্টে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামে আরেকটি মানবিক মিশন একই পথ ধরে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। কিন্তু উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছালে ইসরায়েলি নৌবাহিনী সবগুলো নৌযান আটক করে আরোহীদের গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে অনেককেই ফেরত পাঠানো হলেও, কয়েকজন এখনও ইসরায়েলে আটক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
গ্লোবাল সুমুদ অভিযানে অংশ নেওয়া পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ শতাধিক কর্মীকে ইতোমধ্যে গ্রিসে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা দেখা দেয়।
১৮ বছর ধরে ইসরায়েল গাজার সমুদ্রসীমায় কঠোর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে কোনো আন্তর্জাতিক জাহাজ গাজার উপকূলে নোঙর করতে পারেনি। ফলে এফএফসির এই যাত্রা সফল হলে তা হবে প্রায় দুই দশক পর গাজার তীরে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক নৌবহরের পৌঁছানো।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য শুধু ত্রাণ পৌঁছানো নয়, বরং বিশ্বের সামনে গাজার মানবিক বিপর্যয়ের চিত্র তুলে ধরা। তারা আশা করছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবার ইসরায়েলের অবরোধ নীতির বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় অবস্থান নেবে।
দৈনিক টার্গেট 
























