চীনের উন্নত ড্রোন ও সামরিক প্রযুক্তির সহায়তায় মিয়ানমার জান্তা বাহিনী আবারও যুদ্ধক্ষেত্রে শক্ত অবস্থানে ফিরছে। টানা বিমান ও ড্রোন হামলায় বিধ্বস্ত হচ্ছে শান রাজ্যের শহরগুলো, প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ

চীনের সহায়তায় যুদ্ধক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী, বিপর্যস্ত শান রাজ্য

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৫:২৪:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ৮৩ বার পঠিত হয়েছে

চীনের প্রত্যক্ষ প্রযুক্তিগত ও সামরিক সহায়তায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী আবারও হারানো অঞ্চল পুনর্দখলে এগিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে টানা বিমান হামলা ও ড্রোন অভিযানের ফলে শান রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর কিয়াউকমে এবং হিসপাও-তে সেনারা পুনরায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

একসময় বিদ্রোহী সংগঠন টা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) শহরগুলো দখলে রাখলেও, মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে জান্তা বাহিনী শক্তি প্রদর্শন করে সেসব অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, হামলার তীব্রতায় শহরের বিশাল অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

চীনের সহায়তায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জান্তা বাহিনীর সাম্প্রতিক সাফল্যের পেছনে রয়েছে চীনের আধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশলগত সমর্থন। বেইজিং প্রকাশ্যে ডিসেম্বরের নির্ধারিত নির্বাচনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে এবং একই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে উন্নত ড্রোন, ভারী অস্ত্র ও নজরদারি সরঞ্জাম সরবরাহ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এখন সেনাবাহিনীর হাতে রয়েছে হাজার হাজার ড্রোন, যেগুলো ব্যবহার করে নির্ভুল বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। এসব আঘাতে বিদ্রোহীদের ঘাঁটি ছাড়াও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাও ধ্বংস হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরে অন্তত এক হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক এসব অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন।

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

বিদ্রোহীদের ভেতরে বিভক্তি

অন্যদিকে, বিদ্রোহী শিবিরে এখন গভীর বিভাজন দেখা দিয়েছে। জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ) সহ একাধিক সংগঠন বিচ্ছিন্নভাবে লড়ছে, ফলে তাদের প্রতিরোধ দুর্বল হয়ে পড়েছে।

চীনের সীমান্তে নজরদারি ও প্রযুক্তি রপ্তানিতে নতুন বিধিনিষেধ আরোপের ফলে বিদ্রোহীদের ড্রোন ও অস্ত্র সংগ্রহ প্রক্রিয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাল্লা দেওয়া তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।

যুদ্ধের ভার সাধারণ মানুষের কাঁধে

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, চীনের সমর্থনে মিয়ানমার জান্তা এখন আবারও যুদ্ধক্ষেত্রে প্রভাবশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। শক্তির ভারসাম্য স্পষ্টভাবে সেনাবাহিনীর দিকে ঝুঁকেছে। তবে এই পরিবর্তনের সবচেয়ে ভয়াবহ মূল্য দিচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ যাদের ঘরবাড়ি, জীবন ও নিরাপত্তা এখন ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন

দৈনিক টার্গেট

আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন সর্বশেষ খবর পেতে।

ফলো করুন

চীনের উন্নত ড্রোন ও সামরিক প্রযুক্তির সহায়তায় মিয়ানমার জান্তা বাহিনী আবারও যুদ্ধক্ষেত্রে শক্ত অবস্থানে ফিরছে। টানা বিমান ও ড্রোন হামলায় বিধ্বস্ত হচ্ছে শান রাজ্যের শহরগুলো, প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ

চীনের সহায়তায় যুদ্ধক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী, বিপর্যস্ত শান রাজ্য

প্রকাশ: ০৫:২৪:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

চীনের প্রত্যক্ষ প্রযুক্তিগত ও সামরিক সহায়তায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী আবারও হারানো অঞ্চল পুনর্দখলে এগিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে টানা বিমান হামলা ও ড্রোন অভিযানের ফলে শান রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর কিয়াউকমে এবং হিসপাও-তে সেনারা পুনরায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

একসময় বিদ্রোহী সংগঠন টা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) শহরগুলো দখলে রাখলেও, মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে জান্তা বাহিনী শক্তি প্রদর্শন করে সেসব অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, হামলার তীব্রতায় শহরের বিশাল অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

চীনের সহায়তায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জান্তা বাহিনীর সাম্প্রতিক সাফল্যের পেছনে রয়েছে চীনের আধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশলগত সমর্থন। বেইজিং প্রকাশ্যে ডিসেম্বরের নির্ধারিত নির্বাচনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে এবং একই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে উন্নত ড্রোন, ভারী অস্ত্র ও নজরদারি সরঞ্জাম সরবরাহ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এখন সেনাবাহিনীর হাতে রয়েছে হাজার হাজার ড্রোন, যেগুলো ব্যবহার করে নির্ভুল বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। এসব আঘাতে বিদ্রোহীদের ঘাঁটি ছাড়াও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাও ধ্বংস হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরে অন্তত এক হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক এসব অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন।

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

বিদ্রোহীদের ভেতরে বিভক্তি

অন্যদিকে, বিদ্রোহী শিবিরে এখন গভীর বিভাজন দেখা দিয়েছে। জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ) সহ একাধিক সংগঠন বিচ্ছিন্নভাবে লড়ছে, ফলে তাদের প্রতিরোধ দুর্বল হয়ে পড়েছে।

চীনের সীমান্তে নজরদারি ও প্রযুক্তি রপ্তানিতে নতুন বিধিনিষেধ আরোপের ফলে বিদ্রোহীদের ড্রোন ও অস্ত্র সংগ্রহ প্রক্রিয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাল্লা দেওয়া তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।

যুদ্ধের ভার সাধারণ মানুষের কাঁধে

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, চীনের সমর্থনে মিয়ানমার জান্তা এখন আবারও যুদ্ধক্ষেত্রে প্রভাবশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। শক্তির ভারসাম্য স্পষ্টভাবে সেনাবাহিনীর দিকে ঝুঁকেছে। তবে এই পরিবর্তনের সবচেয়ে ভয়াবহ মূল্য দিচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ যাদের ঘরবাড়ি, জীবন ও নিরাপত্তা এখন ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন