বিশ্ব অর্থবাজারে আবারও ইতিহাস গড়ল সোনার দাম। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবান এই ধাতুটির দাম পৌঁছেছে সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ডলারের দুর্বলতা, সুদহার কমানোর সম্ভাবনা এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকেই ঝুঁকছেন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, এদিন স্পট গোল্ডের দাম বেড়ে প্রতি আউন্স ৪,২৩৫.৪১ ডলারে দাঁড়ায়, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ০.৭ শতাংশ বেশি। এটি টানা পাঁচ দিনের উত্থানের ফলাফল। ডিসেম্বরের ডেলিভারির জন্য মার্কিন ফিউচার মার্কেটে সোনার দর আরও ১.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪,২৫২.৩০ ডলার ছুঁয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকার বন্ধ (শাটডাউন) অব্যাহত থাকায় প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার উৎপাদন ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা বাড়াচ্ছে, এবং তারা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ থেকে নিরাপদ বিনিয়োগে বিশেষত সোনায় ঝুঁকছেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা বৈশ্বিক বাজারে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই অবস্থায় সোনার চাহিদা আরও বাড়বে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ফেডারেল রিজার্ভ যদি ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সোনার দাম আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, সুদ কমলে নগদ অর্থ বা বন্ডের তুলনায় সোনায় বিনিয়োগ বেশি লাভজনক হয়।
কিছু বিশেষজ্ঞের পূর্বাভাস, যদি বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে ২০২৬ সালের মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৫,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
একই দিনে অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর দামেও ওঠানামা দেখা গেছে। স্পট সিলভার ০.৪ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ৫২.৮৮ ডলারে নেমে আসে। তবে প্লাটিনাম ০.৯ শতাংশ বেড়ে ১,৬৬৯.৬০ ডলারে এবং প্যালাডিয়াম ০.৩ শতাংশ বেড়ে ১,৫৪০.২৫ ডলারে স্থিতি পায়।
দৈনিক টার্গেট 
























