পেরুর রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেতসি চাভেসকে ঘিরে। শনিবার (২২ নভেম্বর) স্থানীয় আদালত তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। প্রায় দুই বছর আগে সংঘটিত রাজনৈতিক অস্থিরতার ঘটনায় তাকে জড়িত বলে অভিযোগ করে প্রসিকিউশন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বর্তমানে ৩৬ বছর বয়সী চাভেস মেক্সিকোর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে বিচার এড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন, তখন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিয়ো কংগ্রেস ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেন-যা পরবর্তীতে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হয়।
২০২২ সালের অস্থিরতার পটভূমি
২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট কাস্তিয়ো হঠাৎ করে কংগ্রেস বিলুপ্ত ঘোষণা করলে দেশজুড়ে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়। ঘটনা দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তিনি লিমায় অবস্থিত মেক্সিকোর দূতাবাসে আশ্রয় নিতে যান, তবে সেখানেই তাকে আটক করা হয়। কাস্তিয়োর বিরুদ্ধে পরে বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়।
একই মামলায় বেতসি চাভেসের নামও যুক্ত হয়, কারণ তাকে কাস্তিয়োর সিদ্ধান্তে সহায়তার অভিযোগ করেছে প্রসিকিউটররা। এই ঘটনার পর থেকে লিমা ও মেক্সিকো সিটির সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
চাভেসের বর্তমান অবস্থান
আইনি ঝামেলা এড়াতে চাভেস বেশ কয়েক মাস ধরে মেক্সিকোর দূতাবাসে অবস্থান করছেন। আদালত মনে করছে, তিনি দেশ ছাড়ার চেষ্টা করতে পারেন-এ কারণে বিচারিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
পেরুর সরকার বলছে, কাস্তিয়ো ও চাভেস দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ যথেষ্ট গুরুতর, যা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক টার্গেট 















