গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিতে শ্যামনগর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি কার্ডধারীকে ৩০ কেজি ওজনের একটি বস্তায় চাল সরবরাহ করার কথা থাকলেও বাস্তবে তার ব্যতিক্রম ঘটছে। অভিযোগ অনুযায়ী, সুবিধাভোগীদের হাতে পূর্ণাঙ্গ বস্তা না দিয়ে তাদেরকে আলাদা করে চাল নিতে হচ্ছে। এতে কার্ডধারীরা যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তেমনি সরকারি সহায়তা কার্যক্রমও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, কাশিপুর গ্রামের সাইফুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির নামেই বর্তমান ডিলারশিপ রয়েছে। তিনি স্থানীয় মেম্বার মোক্তার সরদারের ছেলে। তবে অভিযোগ, ডিলারশিপের দায়িত্ব থাকলেও সাইফুল্লাহ সচরাচর উপস্থিত থাকেন না। তার পরিবর্তে অন্যরা চাল বিতরণ করে, যাদের আচরণও অমানবিক বলে অভিযোগ করেছেন সুবিধাভোগীরা।
একজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমি বৃদ্ধ মানুষ। চাল আনতে গেলে তারা আমার রেশন কার্ড ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে অপমান করেছে। শুধু আমার সাথেই নয়, অনেকের সাথেই এমন আচরণ করা হচ্ছে।”
আরেকজন জানান, কয়েক মাস আগে তার পুরনো রেশন কার্ড নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন কার্ড সংগ্রহ না করতে পারায় তাকে তিরস্কার করা হয় এবং কার্ডটি ছিঁড়ে ফেলা হয়।
দৈনিক টার্গেট পরিবারের সদস্য সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, একই পরিবারের অন্য সদস্য মোঃ আতাউর রহমান পূর্বে এই কর্মসূচির ডিলার ছিলেন। তবে দুর্নীতির কারণে তার ডিলারশিপ বাতিল হয়। বর্তমানে তার ভাইয়ের ছেলে সাইফুল্লাহকে ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগকারীরা জানান, একই পরিবার থেকে পুনরায় ডিলারশিপ দেওয়া অনুচিত এবং এতে দুর্নীতির সুযোগ আরও বাড়ছে। তারা দাবি তুলেছেন সাইফুল্লাহর ডিলারশিপ দ্রুত বাতিল করা হোক এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এলাকাবাসীর জোর দাবি, এই অনিয়ম বন্ধ করে প্রকৃত কার্ডধারীদের হাতে সরকার নির্ধারিত পরিমাণ চাল পৌঁছে দেওয়া হোক।
দৈনিক টার্গেট 


















