প্রান্তিক শিশুদের আনন্দমুখর শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে টাঙ্গাইলের ১৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্লেগ্রাউন্ড নির্মাণ করেছেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক

টাঙ্গাইলে ১৬০ স্কুলে প্লেগ্রাউন্ড নির্মাণ

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০২:০৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • ৯৬ বার পঠিত হয়েছে

বিশ্বকে বদলে দিতে, বিকশিত হই আনন্দের সাথে” এই প্রেরণাদায়ী প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক। জেলার ১২টি উপজেলায় ১৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের আনন্দমুখর শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টিতে নির্মাণ করা হয়েছে রঙিন ও নিরাপদ প্লেগ্রাউন্ড।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

প্রতিটি মাঠে স্থাপন করা হয়েছে শিশুদের খেলাধুলার জন্য দোলনা, স্লীপার, ব্যালেন্সার, রোপ ল্যাডার, বাস্কেটবল নেট, প্রজাপতি ফটো ফ্রেম এবং বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন আনন্দে খেলবে, তেমনি দেশপ্রেম ও পরিচয়ের বোধও জাগ্রত হবে।

উদ্বোধনে জেলা প্রশাসক শরীফা হক

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার খাগজানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নবনির্মিত প্লেগ্রাউন্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সঞ্জয় কুমার মহন্ত, টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মিয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেওয়ান আসিফ পেলে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাহাব উদ্দিন, এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

“আনন্দই শিশুর বিকাশের মূল শক্তি” শরীফা হক

উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, “একটি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ তার শিশুরা। তাদের হাসি, খেলা ও শৈশবের আনন্দই ভবিষ্যতের ভিত্তি। যখন শিশুরা আনন্দের সঙ্গে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়, তখনই তারা মানবিক, দায়িত্বশীল ও সৃজনশীল নাগরিক হয়ে গড়ে ওঠে।”

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

তিনি আরো জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুরা যেনও সমানভাবে শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সুযোগ পায়, সেই লক্ষ্যেই এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিটি প্লেগ্রাউন্ডে বাংলাদেশের মানচিত্র স্থাপন করা হয়েছে, যাতে ছোটবেলা থেকেই তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়।

শিশুদের বিকাশে ধারাবাহিক উদ্যোগ

এর আগে শরীফা হকের উদ্যোগে “একটি শিশু একটি স্বপ্ন, ফুলের সাথে বিকশিত হোক আগামীর প্রজন্ম” এই শ্লোগানে জেলার ১,৬২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ৪,৮৬৯টি গাছ (কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালু) রোপণ করা হয়।

উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের পরিবেশবান্ধব ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

জেলা প্রশাসক বলেন, “আমরা যদি শিশুদের প্রতি একটু যত্নশীল হই, তাহলে তারাই হবে আগামী দিনের আদর্শ, কর্মক্ষম ও সুনাগরিক। তাদের মাধ্যমেই গড়ে উঠবে নৈতিকতাসম্পন্ন, পরিবেশ-সচেতন ও মানবিক বাংলাদেশ।”

শরীফা হকের নেতৃত্বে এই ধারাবাহিক উদ্যোগ টাঙ্গাইলের প্রান্তিক শিশুদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। শিশুদের হাসি-আনন্দে ভরে উঠছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, আর সেই আনন্দই একদিন বদলে দেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাংলাদেশকে।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন

দৈনিক টার্গেট

আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন সর্বশেষ খবর পেতে।

ফলো করুন

প্রান্তিক শিশুদের আনন্দমুখর শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে টাঙ্গাইলের ১৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্লেগ্রাউন্ড নির্মাণ করেছেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক

টাঙ্গাইলে ১৬০ স্কুলে প্লেগ্রাউন্ড নির্মাণ

প্রকাশ: ০২:০৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্বকে বদলে দিতে, বিকশিত হই আনন্দের সাথে” এই প্রেরণাদায়ী প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক। জেলার ১২টি উপজেলায় ১৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের আনন্দমুখর শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টিতে নির্মাণ করা হয়েছে রঙিন ও নিরাপদ প্লেগ্রাউন্ড।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

প্রতিটি মাঠে স্থাপন করা হয়েছে শিশুদের খেলাধুলার জন্য দোলনা, স্লীপার, ব্যালেন্সার, রোপ ল্যাডার, বাস্কেটবল নেট, প্রজাপতি ফটো ফ্রেম এবং বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন আনন্দে খেলবে, তেমনি দেশপ্রেম ও পরিচয়ের বোধও জাগ্রত হবে।

উদ্বোধনে জেলা প্রশাসক শরীফা হক

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার খাগজানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নবনির্মিত প্লেগ্রাউন্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সঞ্জয় কুমার মহন্ত, টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মিয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেওয়ান আসিফ পেলে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাহাব উদ্দিন, এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

“আনন্দই শিশুর বিকাশের মূল শক্তি” শরীফা হক

উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, “একটি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ তার শিশুরা। তাদের হাসি, খেলা ও শৈশবের আনন্দই ভবিষ্যতের ভিত্তি। যখন শিশুরা আনন্দের সঙ্গে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়, তখনই তারা মানবিক, দায়িত্বশীল ও সৃজনশীল নাগরিক হয়ে গড়ে ওঠে।”

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

তিনি আরো জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুরা যেনও সমানভাবে শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সুযোগ পায়, সেই লক্ষ্যেই এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিটি প্লেগ্রাউন্ডে বাংলাদেশের মানচিত্র স্থাপন করা হয়েছে, যাতে ছোটবেলা থেকেই তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়।

শিশুদের বিকাশে ধারাবাহিক উদ্যোগ

এর আগে শরীফা হকের উদ্যোগে “একটি শিশু একটি স্বপ্ন, ফুলের সাথে বিকশিত হোক আগামীর প্রজন্ম” এই শ্লোগানে জেলার ১,৬২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ৪,৮৬৯টি গাছ (কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালু) রোপণ করা হয়।

উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের পরিবেশবান্ধব ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

জেলা প্রশাসক বলেন, “আমরা যদি শিশুদের প্রতি একটু যত্নশীল হই, তাহলে তারাই হবে আগামী দিনের আদর্শ, কর্মক্ষম ও সুনাগরিক। তাদের মাধ্যমেই গড়ে উঠবে নৈতিকতাসম্পন্ন, পরিবেশ-সচেতন ও মানবিক বাংলাদেশ।”

শরীফা হকের নেতৃত্বে এই ধারাবাহিক উদ্যোগ টাঙ্গাইলের প্রান্তিক শিশুদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। শিশুদের হাসি-আনন্দে ভরে উঠছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, আর সেই আনন্দই একদিন বদলে দেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাংলাদেশকে।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন