আজ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস। নাগরিকদের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে এবং জবাবদিহিমূলক সমাজ গড়ে তুলতে দিবসটি প্রতি বছর গুরুত্ব সহকারে পালন করা হয়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!প্রতিপাদ্য ও প্রাসঙ্গিকতা ইউনেস্কো স্বীকৃত এ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য “পরিবেশ রক্ষায় ডিজিটাল যুগে তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণ”। ডিজিটাল প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের ফলে তথ্য এখন আগের চেয়ে অনেক সহজলভ্য। তবে এ সুযোগকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়াই এ বছরের মূল বার্তা।
তথ্যের অধিকার ও নাগরিক অংশগ্রহণ বিশেষজ্ঞদের মতে, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত হলে নাগরিকরা শুধু সরকারি কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হতে পারেন না, বরং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পান। ফলে গণতন্ত্র সুদৃঢ় হয়, দুর্নীতি হ্রাস পায় এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
বাংলাদেশে ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়, যার মাধ্যমে নাগরিকরা সরকারি ও আধা-সরকারি সংস্থার কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য চাইতে পারেন। এ আইনকে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন ও তথ্যপ্রাপ্তির সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।
আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস স্মরণ করিয়ে দেয় নাগরিকের হাতে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়াই হচ্ছে উন্নয়ন, সুশাসন ও পরিবেশ সুরক্ষার অন্যতম হাতিয়ার। তথ্যের প্রতি সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করা গেলে সমাজে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সহজ হবে।