সীমাহীন ক্ষমতার ব্যবহার ও গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের অভাব দেশের জন্য আনে দীর্ঘমেয়াদী বিপর্যয় একটি দেশের গণতন্ত্র হলো সমাজের প্রগতি ও স্বাধীনতার মূল ভিত্তি। কিন্তু যখন সরকার সেই শক্তিকে সীমাহীনভাবে নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করে এবং নিয়ন্ত্রণহীনভাবে পরিচালনা করে, তখন স্বৈরাচারিতার বীজ জন্মায়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!স্বৈরাচারিতা কখনোই একদিনে আসে না; এটি ধীরে ধীরে সমাজের ভেতর দিয়ে প্রসারিত হয়, একের পর এক পদক্ষেপের মাধ্যমে।
ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণই প্রথম পদক্ষেপ
যখন বিরোধী দল, স্বাধীন প্রতিষ্ঠান এবং তথ্যপ্রবাহের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়, তখন সরকার প্রশ্নবিহীনভাবে নিজস্ব সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারে। এটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দমন নয়, বরং সমাজের অন্তর্নিহিত স্বাধীনতা হ্রাসের সূচনা।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হ্রাস করা
স্বৈরাচারী শাসনে সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফলে সরকার সমালোচনার মুখোমুখি হয় না এবং জনগণ সঠিক তথ্য থেকে বঞ্চিত হয়। স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ সীমিত হয়, আর ভয় ও আতঙ্ক সমাজে ছড়িয়ে পড়ে।
নাগরিক অধিকার ও ভোটের প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ
নির্বাচন ও ভোটের স্বচ্ছতা হ্রাস পায়। নাগরিকরা তাদের মত প্রকাশ করতে বা সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারে না। এতে সমাজে অসহযোগিতা, ভয় এবং অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি হয়, যা স্বৈরাচারিতাকে শক্তিশালী করে।
অর্থনীতি, শিক্ষা ও সামাজিক ন্যায়ে প্রভাব
স্বৈরাচারিতা শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকে না। অর্থনীতি, শিক্ষা এবং সামাজিক ন্যায়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্বাধীন ব্যবসা ও শিক্ষার ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষ প্রায়শই সরকারের নীতি ও পদক্ষেপ সম্পর্কে সঠিক তথ্য থেকে বঞ্চিত থাকে, যা জাতির দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নকে হ্রাস করে।
স্বৈরাচারিতা প্রতিরোধের উপায়
গণতন্ত্রকে সুসংহত রাখতে নাগরিক সচেতনতা অপরিহার্য। সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা বজায় রাখা, স্বাধীন সংবাদমাধ্যম এবং শিক্ষিত সমাজ নিশ্চিত করা, সরকারের কার্যক্রমে নজরদারি রাখা এগুলোই স্বৈরাচারিতা প্রতিরোধের মূল হাতিয়ার।
যদি নাগরিক ও প্রশাসন একসাথে সচেতনভাবে কাজ করে, তাহলে স্বৈরাচারিতার অন্ধকার প্রতিহত করা সম্ভব। আর না হলে, সীমাহীন ক্ষমতা একদিন জাতির অগ্রগতিকে ব্যাহত করবে।
দৈনিক টার্গেট 
























