পাপুয়া নিউ গিনির জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় কিপলিন ডরিগা এক নারীকে আঘাত ও তার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিন বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন। জার্সির রয়্যাল কোর্ট ২৮ নভেম্বর এই রায় ঘোষণা করে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!৩০ বছর বয়সী ডরিগা চলতি বছর আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ চ্যালেঞ্জ লিগ খেলতে জার্সিতে অবস্থান করছিলেন। ইতোমধ্যে তিনি ডেনমার্ক ও কুয়েতের বিপক্ষে অংশ নিয়েছিলেন এবং সামনে কয়েকটি ম্যাচ বাকি ছিল।
ঘটনাটি ঘটে ২৫ আগস্ট ভোরে। হোটেলে ফেরার পথে সেন্ট হেলিয়ারের হিলারি স্ট্রিটে এক নারীর ওপর হামলা করে ডরিগা। তিনি প্রথমে ওই নারীকে ঘুষি মারেন, তারপর তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। ঘটনাস্থলেই সিসিটিভি ফুটেজ এবং সাক্ষীদের বর্ণনার ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে।
চুরি হওয়া মোবাইল উদ্ধারসহ অল্প সময়ের মধ্যেই ডরিগাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরদিন তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকাতির অভিযোগে চার্জ করা হয়। ২৭ আগস্ট জার্সি ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টে তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করেন, যার পর মামলাটি রয়্যাল কোর্টে পাঠানো হয়।
স্টেটস অব জার্সি পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের ডিটেকটিভ সার্জেন্ট জিম ম্যাকগ্রানাহান বলেন,
“রাতের বেলায় এক নারীর ওপর সহিংসতার ঘটনা অত্যন্ত গুরুতর। আমরা ঘটনার পরপরই তদন্ত শুরু করি এবং দ্রুত সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করতে সক্ষম হই। নারী ও মেয়েদের নিরাপত্তা আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।”
তিনি আরো জানান, দ্বীপের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ডরিগার সাজা ঘোষণার মাধ্যমে মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, তবে ঘটনাটি ক্রিকেট মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
দৈনিক টার্গেট 






















