এশিয়া কাপের সুপার ফোরে অঘোষিত সেমিফাইনাল বলা হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বৈরথকে। তবে ১৩৬ রানের সাধারণ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাট হাতে শুরু থেকেই ধসে পড়ে টাইগাররা। মাত্র ১০১ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে কার্যত হারের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে সাকিববিহীন বাংলাদেশ দল।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হয় ম্যাচটি। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। পাকিস্তান ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে তোলে ১৩৬ রান।
রান তাড়ায় শুরুতেই ধস
ছোট লক্ষ্য হলেও জয়ের পথে প্রথম আঘাতটা আসে একদম শুরুতেই। দলীয় মাত্র ১ রানে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন সাজঘরে ফেরেন। এরপর চাপ সামলাতে নেমে তাওহিদ হৃদয়ও দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে ফিরে যান। দলীয় সংগ্রহ তখন ২৩ রান।
এরপরই ফর্মে থাকা সাইফের উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়ে বাংলাদেশ। একের পর এক ব্যাটার উইকেট বিলিয়ে দেওয়ায় ক্রিজে দাঁড়ানোই যেন দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায় টাইগারদের জন্য।
শামীম–জাকেরের ব্যর্থতা
শাহিন শাহ আফ্রিদির স্লোয়ারে রিভার্স স্কুপ খেলতে গিয়ে শামীম হোসেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। কিছুক্ষণ পর জাকের আলীও অযথা শট খেলতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন। তখন দলের রান মাত্র ৭৩, আর উইকেট হারিয়েছে ৬টি।
শেষ ৬ ওভারে ৬৩ রান দরকার থাকলেও সঠিক সময়ে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি কেউ। ১৫তম ওভারে কিছুটা প্রতিরোধের আভাস দিলেও তা বেশিক্ষণ টেকেনি।
হারিস রউফ–আফ্রিদিদের দাপট
পাকিস্তানের পেস ত্রয়ী শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ আর আবরার আহমেদ একের পর এক আঘাত হানেন। বিশেষ করে পাওয়ার প্লেতে টপ অর্ডার ধসিয়ে দেয়ার পর বাকি ব্যাটারদেরও টিকতে দেননি তারা। হারিস রউফ তানজিম হাসানকে বোল্ড করে বাংলাদেশের বিপদ আরও বাড়ান।
জয়ের পথ এখন দূর
৯৭ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর উইকেটে ছিলেন তানজিম ও রিশাদ। তবে দুজনের অভিজ্ঞতার অভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দলীয় সংগ্রহ গড়াতে না গড়াতেই আরও এক উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ নেমে আসে হারের দ্বারপ্রান্তে।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করেও ম্যাচে এমন ভঙ্গুর ব্যাটিংয়ের কারণে সমালোচনার মুখে পড়তে পারে টাইগার ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত দলটি ১৩৬ রানের লক্ষ্য ছুঁতে পারবে কি না, সেই সম্ভাবনা কার্যত ক্ষীণ হয়ে গেছে।