খুলনা-৬ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী শুক্রবার সন্ধ্যায় মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত উঠন বৈঠকে ভোটারদের সাথে সরাসরি মত বিনিময় করেন। এই বৈঠকে তিনি কয়রার দীর্ঘদিনের জনসাধারণ সমস্যার সমাধানে নানা পরিকল্পনা উন্মোচন করেন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বাপ্পী বলেন, “সিডার আয়লার প্রভাবে যখনই আকাশে মেঘ দেখা দেয় বা নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়, এখানের মানুষ অতি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এই অঞ্চলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সাধারণত ব্যক্তিগত উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। কিন্তু আমার লক্ষ্য এই জনপদে সত্যিকারের আধুনিক সেবা নিশ্চিত করা।”
তিনি আরো বলেন, “আমি রাজনৈতিক জীবনে বহুবার নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছি। আজ আমি বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনীত হয়ে প্রতিজ্ঞা করছি, আপনারা আমাকে ভোট দিলে কয়রাতে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন হাসপাতাল নির্মাণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেব।”
বাপ্পী আধুনিক বেসামরিক অবকাঠামো নির্মাণ, টেকসই বেড়িবাঁধ, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। নারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “বর্তমানে অসুস্থ হলে খুলনা যেতে হয়। এখানে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার দীর্ঘদিন বন্ধ। আমি চাই সবাইকে নিকটস্থ এলাকায় পূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে।”
উঠন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল আলম নান্নু, জেলা সদস্য মনিরুজ্জামান (বেল্টু), আবু সাঈদ বিশ্বাস, এফ এম মনিরুজ্জামান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী সহ আরও অনেকে। মহেশ্বরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোঃ নাজমুল হুদা সভার সভাপতিত্ব করেন।
বাপ্পী একইদিন গিলাবাড়ী বাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন এবং রাতের দিকে মহেশ্বরপুর ত্রিমোহনী সার্বজনীন মন্দিরে অনুষ্ঠিত ৩২তম শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ রাস উৎসবে অংশগ্রহণ করে ভক্তদের সাথে কুশল বিনিময় ও মন্দির উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এই উঠন বৈঠক এবং গণসংযোগ কার্যক্রমে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সক্রিয় সদস্যরা ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করেন।
শেখ সিরাজউদ্দৌলা লিংকন 




















