চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত এবং বিকেলের কিছু সময় হাট বসে। ‘বাবুরবাজার হাট’ নামে পরিচিত এই হাটে প্রতিদিন দুই দফায় প্রায় আড়াই ঘণ্টার জন্য বেচাকেনা হয়। হাটের প্রাণকেন্দ্র ভেড়ানো নৌকা থেকে আনা জেলেদের মাছ, যা আড়তদার এবং পাইকারদের মাধ্যমে খুচরা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছায়, প্রতিদিন গড়ে বিক্রি হয় প্রায় ২৫-২৬ লাখ টাকার মাছ।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সকালে ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা এবং বিকেলে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত চলা এই হাটে ইলিশ, রুই, পাঙাশ, কাতলা, চেউয়া, বাইলা, রিঠা, পোয়া, চাপিলা, শিং ও শিলংসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। জেলে, আড়তদার ও ক্রেতাদের মধ্যে চলে চুক্তি ও দরদামের ব্যস্ততা। একদিকে হাটের কোলাহল, অন্যদিকে নৌকা থেকে মাছ ভেড়ানোর দৃশ্য, স্থানটিকে যেন প্রাণময় করে তোলে।
স্থানীয় আড়তদার ফুলচাঁন বর্মণ জানান, প্রায় ৬০ বছর ধরে এই হাট বসছে। ষাটনল, শিকিরচর, সাদুল্লাহপুর, বেলতলী, দশানী, ছেংগারচর, জীবগাঁও, এখলাশপুর, মোহনপুর, বোরোচর ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকার চার থেকে পাঁচ শতাধিক জেলে প্রতিদিন এখানে মাছ আনে। আড়তদাররা নিলামের মাধ্যমে মাছ বিক্রি করেন, যা কিনছেন স্থানীয় পাইকারি ক্রেতারা এবং সেখান থেকে মাছ ক্রয় করছেন সাধারণ মানুষ।
হাটটির পাশেই মেঘনা নদী, যা পরিবেশকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে। ছেংগারচর সরকারি কলেজের শিক্ষক মো. আলম বলেন, এখানে তুলনামূলক কম দামে ফরমালিনমুক্ত ও তাজা মাছ পাওয়া যায়। তিনি জানান, তিনি প্রায়ই এই হাট থেকে মাছ কেনেন, যা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস জানান, হাটটির নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কম দামে মাছ বিক্রির কারণে জেলে, আড়তদার ও ক্রেতারা সবাই লাভবান হচ্ছেন। মৎস্য বিভাগের নজরদারিতে এই হাটের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
বাবুরবাজার হাট শুধুমাত্র মাছের বাণিজ্যকেন্দ্র নয়, এটি স্থানীয় অর্থনীতি ও সংস্কৃতির অংশ। প্রতিদিন কয়েক ঘন্টার মধ্যে লাখ টাকার মাছ লেনদেনের কারণে এটি এলাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানেরূপে প্রতিষ্ঠিত।
										
																দৈনিক টার্গেট								 


















