ডিজিটাল দুনিয়ায় আয়ের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে ফেসবুক কন্টেন্ট মনিটাইজেশন। সম্প্রতি অনেক ক্রিয়েটর এই সুবিধা পাচ্ছেন। তবে শুধু যোগ্যতা পাওয়া বা অনুমোদন মেলে গেলেই কাজ শেষ নয় বরং সঠিক নিয়ম মেনে চলাই টেকসই আয়ের মূল চাবিকাঠি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মনিটাইজেশন পাওয়ার পর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নজরে রাখা জরুরি।
প্রথমত, ফেসবুকের কমিউনিটি গাইডলাইন ও কন্টেন্ট নীতি কঠোরভাবে মানতে হবে। সহিংসতা, অশ্লীলতা, ভুয়া খবর কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করলে আয় স্থগিত হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, কপিরাইট সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যের ভিডিও, গান বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রাইক আসতে পারে। তাই সবসময় নিজস্ব কন্টেন্ট অথবা রয়্যালটি ফ্রি উপকরণ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া, আয় ধরে রাখতে নিয়মিত ভিডিও ও রিল প্রকাশ করা প্রয়োজন। দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখাও কার্যকরী। কমেন্টের জবাব দেওয়া, লাইভে প্রশ্নোত্তর করা কিংবা ভক্তদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা আয়ের গতি বাড়াতে সাহায্য করে।
ফেসবুকের মনিটাইজেশন নীতিতে স্পষ্ট বলা আছে ভুয়া ভিউ বা বট ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কৃত্রিমভাবে ভিউ বাড়ানোর চেষ্টা করলে আয় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
অন্যদিকে, বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য উপযোগী কন্টেন্ট তৈরি করাও জরুরি। পারিবারিকভাবে গ্রহণযোগ্য, ইতিবাচক ও তথ্যসমৃদ্ধ ভিডিওতে বিজ্ঞাপন বেশি আসে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, ক্রিয়েটর স্টুডিও ও প্রফেশনাল ড্যাশবোর্ডে নিয়মিত আয় ও পারফরম্যান্স চেক করতে হবে। এতে কোন ধরনের কন্টেন্ট বেশি লাভজনক হচ্ছে তা বোঝা যায়।
সবশেষে, পেমেন্ট সেটআপ ও ট্যাক্স সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে যুক্ত করা না হলে আয়ের টাকা উত্তোলন করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি ফেসবুকের নীতিমালার পরিবর্তন নিয়ে আপডেট থাকা প্রতিটি ক্রিয়েটরের জন্য জরুরি।
দৈনিক টার্গেট 

























